বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০

এলিয়েন কি সত্যি আছে?


এলিয়েন আছে সচ্ছ প্রমান(আল কোরআনের আলোকে)

এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রানী
আজ আল কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান 
.করবো যে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ আছে

এলিয়েন কি:-
এলিয়েন হল আপরিচিত অচেনা বা আমরা কখনোই যাদের দেখিনি অর্থাৎ এমন একটি অপরিচিত অন্য গ্রহের প্রানী যাদের সাথে আমাদের কোন প্রকার যোগাযোগ কথাবার্তা ও পরিচয় নেই.
আর যোগাযোগ নাই বিধায় বিজ্ঞান তাদের নাম দিয়েছে এলিয়েন বা অপরিচিত বা অন্য আগ্রহের প্রাণী.

যুগ যুগ দরে বিজ্ঞানীরা এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করে আসছে.আজ প্রর্যন্ত কোন কূলকিনারা করতে পারেনি.এলিয়েন নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতুহলের শেষ নেই.কেউ বলে এলিয়েন আছে আবার কেউ এই বিষটাকে বিত্তহীন মনে করেছে.
আবার কেউ এটাকে ভুতপেত বা জ্বীন বলেছেন. 
কিন্তুু জ্বীন আমাদের জানা বিষয় এটা এলিয়েন হয় কিভাবে. 
তবে বেশিরভাগ বিজ্ঞানী বলেছেন এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ আছে অনেকে জোর দাবী করেও বলেছে.কিন্তুু আজও কেউ প্রমাণ দিতে পারেনি.
যে অন্য গ্রহে প্রাণ আছে সবাই শুধু দারনা বিত্তিক বলে আসছে.

কিন্তুু মজার বিষয় হল এলিয়েন সমন্ধে মহান আল্লাহ পাক পবিত্র আল কোরআনের গোষনা দিয়ে দিয়েছেন যা আমরা অনেকেই জানিনা.
আর জানলেও তাই নিয়া কোন গবেষণায় মগ্ন হই না.
এলিয়েন বিষয়ে আল কোরআনের দারনাগুলো বিজ্ঞান থেকে অনেক উন্নত এবং সচ্ছ.

প্রথমে নজর দেব আল কোরআনের প্রথম সূরার দিকে
বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম..
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِيۡنَ

অর্থ :- প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য যিনি নিখিল বিশ্ব –জাহানের রব,(বিশ্ব জগতের বা জগত সূমহের প্রতিপালক)(সূরা ফাতেহা আয়াত ১)

اللّٰهُ الَّذِىۡ جَعَلَ لَكُمُ الۡاَرۡضَ قَرَارًا وَّالسَّمَآءَ بِنَآءً وَّصَوَّرَكُمۡ فَاَحۡسَنَ صُوَرَكُمۡ وَرَزَقَكُمۡ مِّنَ الطَّيِّبٰتِؕ ذٰلِكُمُ اللّٰهُ رَبُّكُمۡ‌ ۖۚ فَتَبٰرَكَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِيۡنَ‏﴾

অর্থ:-আল্লাহই তো সেই সত্তা যিনি পৃথিবীকে অবস্থানস্থল বানিয়েছেন এবং ওপরে আসমানকে গম্বুজ বানিয়ে দিয়েছেন।যিনি তোমাদের আকৃতি নির্মাণ করেছেন এবং অতি উত্তম আকৃতি নির্মাণ করেছেন। যিনি তোমাদেরকে পবিত্র জিনিসের রিযিক দিয়েছেন।সে আল্লাহই (এগুলো যার কাজ) তোমাদের রব। অপরিসীম কল্যাণের অধিকারী তিনি। বিশ্ব-জাহানের রব তিনি।(বিশ্ব জগত সূমহের প্রতিপালক (সূরা মুমিন আয়াত ৬৪)
এখানে এই দুটি আয়াত এলিয়েন বিষয়ে কোন প্রমান বহন না করলেও দুই আয়াতের শেষ অংশে জগত সূমহের কথা উল্লেখ রয়েছে. জগত সূমহ তাহলে আসলে কি? এখানে বুঝা যায় আমাদের এই জগত ছারাও অনেক জগত রয়েছে.আর প্রান থাকতে হলে প্রথমে জগতের উপস্থিতি একান্তই প্রয়োজন.
এখানে উদ্দেশ্য হলো পৃথিবী ছারা আরো অনেক জগত বা পৃথিবী রয়েছে তার প্রমাণ করা..
এখন তাহলে মূল আলচনার দিকে এগিয়ে যাই.

যেমন পবিত্র আল কোরআনের বলা হয়েছে.:-

اٰيٰتِهٖ خَلۡقُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِ وَمَا بَثَّ فِيۡهِمَا مِنۡ دَآبَّةٍ‌ؕ وَهُوَ عَلٰى جَمۡعِهِمۡ اِذَا يَشَآءُ قَدِيۡرٌ﴾

অর্থ :- এই আসমান ও যমীনের সৃষ্টি এবং এ দু’জায়গায় তিনি যেসব প্রাণীকুল ছড়িয়ে রেখেছেন এসব তাঁর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। যখন ইচ্ছা তিনি এদেরকে একত্র করতে পারেন। (সুরা আল সুরাহ আয়াত 29)

অর্থৎ যমীন ও আসমান উভয় স্থানেই। জীবনের অস্তিত্ব. আছে . শুধু যে পৃথিবীতেই প্রাণীর অস্তিত্ব আছে তা নয়, অন্য সব গ্রহেও প্রাণী ও প্রাণধারী সত্তা আছে এটা তার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত। 

অর্থাৎ তিনি যেমন তাদের ছড়িয়ে দিতে সক্ষম তেমনি একত্র করতেও সক্ষম।
অনেকেই মনে করে সবাই একত্রে হলে কেয়ামত আসতে পারে এটা ভুল দারনা. এই কারনে কিয়ামত আসতে পারে না এবং আগের ও পরের সবাইকে একই সময়ে উঠিয়ে একত্রিত করা যেতে পারে না এ ধারণা মিথ্যা।এই আয়াতে আমাদের ছারা অন্য গ্রহে প্রাণের দারনা সচ্ছলতা.

আরো পবিত্র আল কোরআনের বলা হয়েছে:-

﴿سَبَّحَ لِلّٰهِ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِىۡ الۡاَرۡضِ‌ۚ وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ﴾

অর্থ:-আসমান ও যমীনে যা কিছু আছে তা সবই আল্লাহর তাসবীহ করেছে। তিনি মহাপরাক্রমশালী ও মহাজ্ঞানী।
(সুরা আল ছফ আয়াত 01)
এখানে আসমান জমীন উভয়ের কথা বলা হয়েছে যে এই দুইয়ের মাজে" যা আছে তাহারা সবাই মহান রবের প্রশংসা করে. এখানে শুধু পৃথিবীর ও মানুষের কথা বলা হয়নি আসমানে যে আমাদের মত প্রাণী আছে ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়.

اَللّٰهُ الَّذِىۡ خَلَقَ سَبۡعَ سَمٰوٰتٍ وَّمِنَ الۡاَرۡضِ مِثۡلَهُنَّؕ يَتَنَزَّلُ الۡاَمۡرُ بَيۡنَهُنَّ لِتَعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ عَلٰى كُلِّ شَىۡءٍ قَدِيۡرٌ ۙ وَّاَنَّ اللّٰهَ قَدۡ اَحَاطَ بِكُلِّ شَىۡءٍ عِلۡمًا‏﴾

অর্থ:-
আল্লাহ সেই সত্তা যিনি সাত আসমান বানিয়েছেন এবং যমীনের শ্রেণী থেকেও ঐগুলোর অনুরূপ।ঐগুলোর মধ্যে হুকুম নাযিল হতে থাকে। (এ কথা তোমাদের এজন্য বলা হচ্ছে) যাতে তোমরা জানতে পারো, আল্লাহ‌ সব কিছুর ওপরে ক্ষমতা রাখেন এবং আল্লাহর জ্ঞান সব কিছুকে পরিব্যপ্ত করে আছে।(সূরা তালাক আয়াত ১২)

আলচনা :-
ঐগুলোর অনুরূপ” কথাটির অর্থ এ নয় যে, যতগুলো আসমান বানিয়েছেন যমীনও ততগুলোই বানিয়েছেন। বরং এর অর্থ হলো, তিনি বহুসংখ্যক আসমান যেমন বানিয়েছেন তেমনি বহুসংখ্যক যমীনও বানিয়েছেন। আর যমীনের শ্রেনী থেকেও কথাটার অর্থ হচ্ছে, যে পৃথিবীতে মানুষ বাস করছে সেই পৃথিবী যেমন তার ওপর বিদ্যমান সবকিছুর জন্য বিছানা বা দোলনার মত ঠিক তেমনি আল্লাহ‌ তা’আলা এই বিশ্ব-জাহানে আরো অনেক যমীন বা পৃথিবী বানিয়ে রেখেছেন যা তার ওপর অবস্থানকারী সবকিছুর জন্য বিছানা ও দোলনার মত। এমন কি কুরআনের কোন কোন স্থানে এ ইঙ্গিত পর্যন্ত দেয়া হয়েছে যে, জীবন্ত সৃষ্টি কেবল যে এই পৃথিবীতে আছে তাই নয়, বরং ঊর্ধ্ব জগতেও জীবন্ত সৃষ্টি বা প্রাণী বিদ্যমান.

অন্য কথায় আসমানে যে অসংখ্য তারকা এবং গ্রহ-উপগ্রহ দেখা যায় তার সবই বিরাণ অনাবাদী পড়ে নেই। বরং তার মধ্য থেকেও বহু সংখ্যক গ্রহ-উপগ্রহ এমন আছে যা এই পৃথিবীর মতই আবাদ।
প্রাচীন যুগের মুফাস্‌সিরদের মধ্যে শুধুমাত্র ইবনে আব্বাসই (রা) এমন একজন মুফাস্‌সির যিনি সেই যুগেও এই সত্যটি বর্ণনা করেছিলেন, যখন এই পৃথিবী ছাড়া বিশ্ব-জাহানের আর কোথাও বুদ্ধিমান শ্রেণীর মাখলুক বাস করে এ কথা কল্পনা করতেও কোন মানুষ প্রস্তুত ছিল না। বর্তমানেও যেখানে এই যুগের অনেক বৈজ্ঞানিক পর্যন্ত এর সত্যতা বাস্তবতা সম্পর্কে সন্দিহান সেক্ষেত্রে ১৪শত বছর পূর্বের মানুষ একে সহজেই কিভাবে বিশ্বাস করতে পারতো। তাই ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সাধারণ মানুষের সামনে এ কথা বলতে আশঙ্কা করতেন যে, এর দ্বারা মানুষের ঈমান নড়বড়ে হয়ে না যায়। মুজাহিদ বর্ণনা করেছেন যে, তাঁকে এ আয়াতের অর্থ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেনঃ “আমি যদি তোমাদের কাছে এ আয়াতের ব্যাখ্যা পেশ করি তাহলে তোমরা কাফের হয়ে যাবে। তোমাদের কুফরী হবে এই যে, তোমরা তা বিশ্বাস করবে না, মিথ্যা বলে গ্রহণ করবে।” সাঈদ ইবনে যুবায়ের থেকেও প্রায় অনুরূপ বক্তব্য উদ্ধৃত হয়েছে। তিনি বলেন ইবনে আব্বাস বলেছেন, “আমি যদি তোমাদেরকে এর অর্থ বলি তাহলে তোমরা কাফের হয়ে যাবে না এমন আস্থা কি করে রাখা যায়।” (ইবনে জারীর, আবদ ইবনে হুমায়েদ) তা সত্ত্বেও ইবনে জারীর, ইবনে আবী হাতেম ও হাকেম এবং বায়হাকী শুয়াবুল ঈমান ও কিতাবুল আসমা ওয়াস সিফাত গ্রন্থে আবুদ দোহার মাধ্যমে শাব্দিক তারতম্যসহ ইবনে আব্বাস বর্ণিত এই তাফসীর উদ্ধৃত করেছেন যে,

#ঐ সব গ্রহের প্রত্যেকটিতে তোমাদের নবীর মতো নবী আছেন, তোমাদের আদমের (আঃ) মতো আদম আছেন, নূহের (আঃ) মতো নূহ আছেন, ইবরাহীমের (আঃ) মতো ইবরাহীম আছেন এবং ঈসার (আঃ) মতো ঈসা আছেন।” ইবনে হাজার (রঃ) তাঁর ফাতহুল বারী গ্রন্থে এবং ইবনে কাসীর তাঁর তাফসীরেও এ হাদীসটি উদ্ধৃত করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেছেন যে, এর সনদ বিশুদ্ধ। তবে আমার জানা মতে, আবুদ দোহা ছাড়া আর কেউ এটি বর্ণনা করেননি। তাই এটি বিরল ও অপরিচিত হাদীস। অপর কিছু সংখ্যক আলেম একে মিথ্যা ও বানোয়াট বলে আখ্যায়িত করেছেন। মোল্লা আলী কারী তাঁর “মাওদুয়াতে কাবীর” গ্রন্থে (পৃষ্ঠা-১৯) একে বানোয়াট বলে উল্লেখ করে লিখেছেন, এটি যদি খোদ ইবনে আব্বাসের বর্ণিত হাদীসও হয়ে থাকে তবুও তা ইসরাঈলী পৌরণিকতার অন্তর্ভুক্ত। তবে প্রকৃত সত্য ও বাস্তব হলো, মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির অগম্যতাই এটিকে প্রত্যাখ্যান করার মূল কারণ। অন্যথায় এর মধ্যে যুক্তি ও বিবেক-বুদ্ধি বিরোধী কোন কথা নেই। এ কারণে আল্লামা আলুসী এ বিষয়ে তাঁর তাফসীরে আলোচনা করতে গিয়ে লিখছেনঃ বিবেক-বুদ্ধি ও শরীয়াতের দৃষ্টিতে এ হাদীসটি মেনে নিতে কোন বাধা নেই। এ হাদীসের অর্থ দাঁড়াচ্ছে, প্রত্যেক যমীনে একটি মাখলুক আছে। তারা একটি মূল বা উৎসের সাথে সম্পর্কিত--- এই পৃথিবীতে আমরা যেমন আমাদের মূল উৎস আদম আলাইহিস সালামের সাথে সম্পর্কিত। তাছাড়া প্রত্যেক যমীনে এমন কিছু ব্যক্তিবর্গ আছেন যাঁরা সেখানে অন্যদের তুলনায় বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত যেমন আমাদের এখানে নূহ ও ইবরাহীম আলাইহিস সালাম বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। তিনি আরো বলেনঃ হয়তো যমীনের সংখ্যা সাতের অধিক হবে এবং অনুরূপভাবে আসমানও শুধু সাতটিই হবে না। সাত একটি পূর্ণ বা অবিভাজ্য সংখ্যা। এ সংখ্যাটি উল্লেখ করায় তার চেয়ে বড় সংখ্যা রহিত হয়ে যাওয়া অনিবার্য নয়। তাছাড়া কোন কোন হাদীসে যেখানে এক আসমান থেকে অপর আসমানের মধ্যবর্তী দূরত্ব পাঁচ শত বছর বলা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেছেনঃ অর্থাৎ এর দ্বারা হুবহু দূরত্বের পরিমাণ বা মাপ বর্ণনা করা হয়নি। বরং কথাটি যাতে মানুষের জন্য অধিকতর বোধগম্য হয় সে উদ্দেশ্যে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

#এখানে উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি আমেরিকার র্যাণ্ড কার্পোরেশন (Rand corporation) মহাশূন্য পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে অনুমান করেছে যে, পৃথিবী যে ছায়াপথে অবস্থিত শুধু তার মধ্যেই প্রায় ৬০ কোটি এমন গ্রহ দেখা যায় আমাদের পৃথিবীর সাথে যার প্রাকৃতিক অবস্থার অনেকটা সাদৃশ্য আছে এবং সম্ভবত সেখানেও জীবন্ত মাখলুক বা প্রাণী বসবাস করছে। (ইকনমিষ্ট, লন্ডন, ২৬ শে জুলাই, ১৯৬৯ ইং)।(আর এই ব্যখ্যায় প্যারালাল ইউনিবার্স এর তথ্য বহন করে.এতে বুঝা যায় আমার মত আরো একজন ব্যক্তি আছে যা হুবহু আমার মত.)

উল্লেখ্য সূরা সুরাহা"র ২৯ ও সূরা তালাক এর ১২ নাম্বার আয়াতে সচ্ছ দারনা পাওয়া যায় আমাদের ছারা অর্থাৎ এই পৃথিবীবাসী ছারা এই মহাবিশ্বের অন্য কোথাও প্রাণ লুকিয়ে আছে যা আমরা জানি না. কিন্তুু আল কোরআন আমাদের হাজার বছর আগে জানিয়ে দিয়েছে. যে সময়ে বিজ্ঞান কি" তা মানুষ জানতো না.

তাছারা পবিত্র আল কোরআনের অনেক জায়গায় এই বিষয়ে ইংগিত করা হয়েছে.
এবং আল কোরআন প্রমান করে দিয়েছে যে অন্য গ্রহে প্রাণ বা এলিয়েন আছে.যা বিজ্ঞান আজো প্রমান করতে পারেনি.
হয়তো বিজ্ঞান কোনএকদিন প্রমাণ পাবে. সেদিন আরো একবার প্রমাণ হবে আল কোরআন সত্য এবং মহান রবের নিকট হতে পেয়ারিত আসমানী গ্রন্থ.
(লেখা ভুল হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো) 

প্রমাণ পাওয়া যায়?

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৮

সমকামিতার পরিনতি

যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর। দরুদ ও সালাম আল্লাহর রাসূল (সা) এর উপর। পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।

অবশ্যই ইসলামে homosexuality সম্পূর্ণ হারাম। এবং স্বাভাবিক ব্যভিচারের চেয়েও খারাপ। 
লুত (আ) এর কওমকে (Sodom আর Gomorrah নগরী) আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছিলেন যেসব কারণে এর মধ্যে সমকামিতা ছিল একটি। 
আমি এখানে কুরআনের আয়াত আর হাদিসগুলো উল্লেখ করছি। 

• "এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ।" (আরাফ ৭:৮১-৮২)

• "সারা জাহানের মানুষের মধ্যে তোমরাই কি পুরূষদের সাথে কুকর্ম কর?
এবং তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের জন্য সঙ্গিনী হিসেবে যাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরকে বর্জন কর? বরং তোমরা সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।" (শুয়ারা ২৬:১৬৫-১৬৬)

• "স্মরণ কর লূতের কথা, তিনি তাঁর কওমকে বলেছিলেন, তোমরা কেন অশ্লীল কাজ করছ? অথচ এর পরিণতির কথা তোমরা অবগত আছ! তোমরা কি কামতৃপ্তির জন্য নারীদেরকে ছেড়ে পুরুষে উপগত হবে? তোমরা তো এক বর্বর সম্প্রদায়। উত্তরে তাঁর কওম শুধু এ কথাটিই বললো, লূত পরিবারকে তোমাদের জনপদ থেকে বের করে দাও। এরা তো এমন লোক যারা শুধু পাকপবিত্র সাজতে চায়। অতঃপর তাঁকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে উদ্ধার করলাম তাঁর স্ত্রী ছাড়া। কেননা, তার জন্যে ধ্বংসপ্রাপ্তদের ভাগ্যই নির্ধারিত করেছিলাম।" (কুরআন 27:54-57)

• "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।" (২৯:৩১)

দুর্ভাগ্য আমাদের, Al-Fatiha Foundation নামে একটা "মুসলিম" foundation আছে... যেটা মুসলিম গে, লেজবিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করে!!!! কুরআনের স্পষ্ট আয়াত থাকা সত্ত্বেও কীভাবে তারা এটা করতে পারে?? 

এবার হাদিস দেখুনঃ

# "ইবনে আব্বাস বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, তোমরা যদি কাউকে পাও যে লুতের সম্প্রদায় যা করত তা করছে, তবে হত্যা কর যে করছে তাঁকে আর যাকে করা হচ্ছে তাকেও।" (আবু দাউদ 38:4447)

# "আবু সাইদ আল খুদ্রি বলেন, রাসুল (স) বলেছেন, একজন পুরুষ আরেক পুরুষের যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক নারী আরেক নারীর যৌনাঙ্গ দেখবে না। এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না। এক নারী আরেক নারীর সাথে কখনও অন্তত undergarment না পরে একই চাদরের নিচে ঘুমাবে না।" (আবু দাউদ, 31:4007)

# "আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেন, এক পুরুষ আরেক পুরুষের সাথে বা এক নারী আরেক নারীর সাথে ঘুমাতে পারবে না লজ্জাস্থান ঢাকা ব্যতীত। তবে ব্যতিক্রম করা যাবে, শিশু আর পিতার ক্ষেত্রে... রাসুল (স) ৩য় আরেকজনের কথা বলেছিলেন কিন্তু আমি ভুলে গিয়েছি।" (আবু দাউদ, 31:4008)

# "জাবির (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, আমি আমার কওমের জন্য সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটা আশঙ্কা করি সেটা হল লুতের কওম যা করত সেটা যদি কেউ করে... " (তিরমিজি, 1457)

এবার আসুন সমকামীদের শাস্তি কী সেটা দেখা যাক। হাদিস আমাদের জানাচ্ছেঃ 

# "ইবনে আব্বাস বলেন, অবিবাহিত কাউকে যদি সমকামিতায় পাওয়া যায় তাহলে তাঁকে পাথর মেরে হত্যা করতে হবে।" (আবু দাউদ, 38:4448 )

# "যে কাউকে লুতের কওমের মতো করতে দেখলে যে দিচ্ছে আর যে পাচ্ছে দুজনকেই হত্যা কর।" (তিরমিজি 1:152)

# মুয়াত্তা শরীফের 41 41.111 নাম্বার হাদিসে এর শাস্তি বলা আছে পাথর মেরে হত্যা।

# "ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) বলেছেন, অভিশপ্ত সে যে কিনা কোন পশুর সাথে সেক্স করে, আর অভিশপ্ত সে যে কিনা সেটা করে যা লুতের সম্প্রদায় করত।" (আহমাদ:1878)

# "ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, আলী (রা) তাঁর সময়ে ২ জন সমকামীকে পুড়িয়ে দেন। আর আবু বকর(রা) তাদের উপর দেয়াল ধ্বসিয়ে দেন।" (মিশকাত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৭৬৫, প্রস্তাবিত শাস্তি)

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

শহীদ"বলা নিয়ে বিতর্ক ও বাস্তবতা

"শহীদ" বলা নিয়ে বিতর্ক ও বাস্তবতা:

শাহাদাৎ আল্লাহ প্রদত্ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। এটি প্রাপ্তির তামান্না প্রত্যেক মুমিনের অন্তরেই থাকা উচিৎ। তবে সবার ভাগ্যে এটি জোটে না। এর জন্য চাই পাহাড় সম মজবুত ঈমান। যে ঈমান জালেমের রক্ত চক্ষুকে সামান্যও পরোয়া করে না। এ নিয়ামাতে সেই ধন্য হয়, যে আল্লাহর পথে হাসতে হাসতে জীবন দিতে সদা প্রস্তুত থাকে।

রাসূল সা, বলেছেন- যে ব্যক্তি আন্তরিক ভাবে শাহাদাতের তামান্না লালন করে, তাকে তা দেয়া হবে। যদি সে আঘাত প্রাপ্ত নাও হয়, (মুসলিম -৪৭৭৭)।

আর যে আল্লাহর রাস্তায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নিহত হয়, সে তো নিশ্চিত শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৪)।  তাকে তো মৃত বলতে নিষেধ করা হয়েছে, (সূরা বাকারাহ- ১৫৪)।

শাহাদাৎ যেহেতু অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ বিষয়, তাই এ সম্মানে উম্মতে মুহাম্মাদী সা, এর বেশি সংখ্যক লোক যেন সম্মানীত হতে পারে, তাই রাসূল সা, আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও আরো অনেক কে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন- ১. যে আল্লাহরর পথে নিহত হয় সে শহীদ, ২. যে পেটের পীড়ায়, ৩.মহামারিতে, ৪. পানিতে ডুবে, ৫. গর্ভাবস্হায়, ৬. আগুনে পুড়ে ও ৭. ক্ষয় রোগে মারা যায় সে শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৩,  ২৮০৪)।

আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তি শহীদ এটাতো কুরআনের বক্তব্য। 
কিন্তু ইদানিং কিছু ভাই বক্তৃতা- বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন-   রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার কারণে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদেরকে শহীদ বলা যাবে না।

তারা বলতে চান- তারা যদি নির্দোষ হন, মাজলুম হয়ে মৃত্যুবরণ করার কারণে  তাদের শাহাদাতের জন্য দুআ করা যাবে। কিন্তু শহীদ বলা যাবে না।

আমার প্রশ্ন- দ্বীন কায়েমের জন্য মাজলুম হয়ে নিহত হওয়া, আর অন্যান্য পার্থিব বিষয় নিয়ে মাজলুম হয়ে নিহত হওয়া কি এক জিনিষ?

যদি দ্বীনি আন্দোলন করার কারণে হত্যা করা হয়, আর তাকেই যদি শহীদ বলা না যায়, তাহলে শহীদ কাকে বলা হবে?

উম্মু ওরাকাহ রা, রাসূল সা,এর নিকট বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার অনুমতি চেয়েছিলেন। রাসূল সা, বলছিলেন- স্বগৃহে অবস্হান কর, আল্লাহ তোমাকে শাহাদাৎ নসীব করবেন।
রাবী বলেন- এ জন্য তাকে শহীদ বলা হতো, (আবু দাউদ- ৫৯১)।

রাসূল সা, বলেছেন, যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়,  সে শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৪)।

অথচ,  কিছু ভাই শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ তৈরী করছেন।

কাউকে শহীদ বলা, আর জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়া এক কথা নয়। আমরা তো তাদের কে জান্নাতের সার্টিফিকেট দিচ্ছি না।

আপাত দৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য তাদের আত্ম ত্যাগের স্বীকৃতি সরূপ  উত্তম ধারণা পোষণ করে আমরা তাদেরকে  শহীদ বলছি। এভাবে আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তিেকে শহীদ বলার রেওয়াজ ইসলামের শুরু থেকেই চলে আসছে।

কিন্তু শহীদের প্রকৃত পুরস্কার নির্ভর করবে, তার নিয়্যাতের উপর। নিয়্যাতের গরমিলের কারণে আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তিকেও জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে, (মুসলিম-৪৭৭১)।

আমরা কারো নিয়্যাতের উপর হাত দিতে চাই না। যে লোকটিকে নিয়্যাত ভাল না থাকায় জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে, রাসূল সা, তার আলোচনা করতে গিয়ে- "উস্তুসহিদা" তথা তাকে শহীদ করা হয়েছে শব্দটি ব্যবহার করেছেন। (মুসলিম- ৪৭৭১)।

যে ব্যক্তিটি জাহান্নামি। শুধু আল্লাহর রাস্তায় নিহত হওয়ার কারণে, আপাত দৃষ্টিকোণ থেকে তাকেও রাসূল সা, শহীদ বলেছেন। আর যার নিয়্যাত ও কর্ম সম্পর্ক আপনি কিছুই জানেন না।  শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীনের কথা বলাতেই যাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যারা তাকে হত্যা করেছে, তারাও জানে, আল্লাহর দ্বীন কায়েমের কথা বলাই তার একমাত্র অপরাধ। তারপরও আপনাদের শুধু সন্দেহ লাগে, ওদের শহীদ বলা যাবে কিনা।

কেন আপনাদের এত সন্দেহ? প্রতিহিংসা নয়তো?

বলবেন, গণতন্ত্ররের কারণে এরা শহীদ নয়!

গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ তো নির্বাচন এলে। যারা শুধু কুরআনের দাওয়াত দিতে গিয়ে নিহত হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কী বলবেন?

জালেম শাসকের বিরুদ্ধে হক কথা বলা শ্রেষ্ঠ জেহাদ। এ হাদীসটি কি শুনেন নি?

অন্যরা শহীদ হলো কি না, তা নিয়ে বক্তব্য তো ভালই দিচ্ছেন। কিন্তু জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে আপনাদের কয়টি বক্তব্য ইউটিউবে আছে?

বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি,  জালেমদের দোসরদের কে মঞ্চে মেহমান হিসেবে দাওয়াত দিচ্ছেন। আবার শ্লোগানও দিচ্ছেন!

আমরা আপনাদের দ্বীনি ভাই। শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে আমরাও আপনাদের সহযোদ্ধা।

তাই আসুন অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করে পারস্পরিক দূরত্ব তৈরী করা থেকে বিরত থাকি।

দ্বীনের বিধানের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া ভাল, কিন্তু খুত খুতে হওয়া ভাল নয়।

বি, দ্র, সবাই কে শালীন ভাবে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি।

বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭

লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত ইসলামী শরিয়তে আছে কি"না

বর্তমানে ইসলামী শরিয়তে লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত হলো বড় একটি বিতর্কিত বিষয় কেউ বলেছে শবে বরাত আছে আবার কেউ বলেছেন শরিয়তে শবে বরাত বলতে কিছুই নাই.
আসলেই কি শরিয়তে শবে বরাত বলতে কিছুই নাই.যদি নাই থাকতো তাহলে এতো বিতর্ক কেনো.আসলেই শবে বরাত কি. আসুন সঠিকটা কি জেনে নেয়া যাক.
এক:-
শবে বরাত দুটি শব্দের সংমিশ্রণ শব ও বরাত. শব অর্থ দিন আর বরাত অর্থ ভাগ্য. বে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী.
শবে বরাত শব্দটি"আল কোরআন ও হাদীসে কোথাও পাওয়া যায়নি.আল কোরআন ও হাদীসে ভাগ্য রজনী হিসাবে যা পাওয়া যায় তা হলো লাইলাতুল কদর.
তাহলে বরাত শব্দটি আসলো কোথায় হতে.

দেখা যাক বরাত কি ও কোথায় হতে আসলো.
বরাত শব্দটি একটি প্রচলিত পরিভাষা যা আবিষ্কার হয়েছে রাসূল (সঃ) এর ওফাতের প্রায় পাঁচশত বৎসর পর. সাহাবী" তাবেয়ীন"তাবে তাবেয়ীন"ও চার ঈমামদের আমলেও বরাত নামক কোন শব্দ পাওয়া যায়নি.
বরাত শব্দটি একটি ফারসি পরিভাষা. এটা কোন ছুন্নাতের পরিভাষা নয়.
যেমন. নামাজ"রোজা"পীর"শবে বরাত এইগুলি কোন ছুন্নাতের পরিভাষা নয় এই শব্দগুলো আল কোরআন ও হাদিসের কোনো যায়গায় নেই. এইগুলি বলায় কোন পাপ নেই ও সাওয়াব ও নেই এইগুলি হলো আঞ্চলিক পরিভাষা . 
যা আছে তা হলো ছুন্নাতের পরিভাষা যেমন.সালাত"সিমায়"সহবত"ও লাইলাতুল নেসফেবি সাবান.
আল কোরআন ও হাদিসে কোথাও বরাত শব্দ নেই কিন্তুু লাইলাতুুল নেসফে বি সাবান (বা সাবানের মধ্যরাত) উল্লেখ আছে.
সাবানের মধ্যরাতকে ফারসি পরিভাষায় বরাত বলে উল্লেখ করেছে.শবে বরাত বলাতে কোন ক্ষতি নেই.
তবে লাইলাতুল নেসফে বি সাবান বল্লে একটা ছুন্নাত আদায় হবে এবং সাওয়াব হবে.কারন এটা শরিয়তের পরিভাষা.

দুই:-
লাইলাতুল নেসফে বি সাবান( শবে বরাত) নিয়ে অনেকে হাদীস রয়েছে. তবে মুহাদ্দিসদের মতে বেশির ভাগ হাদিস হলো ঝাল ও বানোয়াট. এই নিয়ে দুইএকটি সহিহ হাদিস রয়েছে.
যেমন
রাসূল (সা.) বলেন, 'আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবান ( অর্থাৎ শবে বরাত) এর রাতে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ (শিরক ও হিংসা)  পোষনকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।'যদিও সে ঘুমিয়ে থাকে (সহীহ ইবনে হিব্বান ১২/৪৮১)
এই মর্মে দুইতিনটি হাদিস আছে. এবং এই হাদিসটিকে ইমাম বারী রাহঃ সহিহ বলেছেন.
এই হলো মহান আল্লাহ পাকের  সাধারণ ক্ষমা যা থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। তবে শর্ত দুটোঃ শির্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকা যাবে না এবং কোনো মুসলিমের প্রতি বিদ্বেষ রাখা যাবে না।

তিন:-
এই রাতের কি বিশেষ কোনো আমল আছে কি"না.
রাসূল (সঃ) সাহাবা ও তাবেয়ীন কারোই এই রাত উজ্জাপন করে কোন আমল করেননি.
.সহীহ সনদে এই রাতের কোনো বিশেষ আমল নেই। সহিহ হাদিসে কোন আমল পাওয়া যায় না.তবে কেউ যদি অন্য দিনের মত আমল করে তাহলে কোন ক্ষতি নেই.
কিন্তুু সম্মেলিত ভাবে মসজিদে গিয়ে রবাতের নিয়তে নামাজ আদায় করা. দু'আ ও কবর যিয়ারত করা একেবারেই উচিৎ নয়.

মা'আরিফুল কুরআনের লেখক মুফতী শফী রহ. বলেন, রাসূল সা. যেহেতু জীবনে মাত্র একবার এই রাতে বাকী গোরস্তানে গিয়েছেন তাই আমাদেরও একবারের অধিক, প্রতিবছর গোরস্তানে যাওয়া উচিত নয়।
[ইবনু তাইমিয়াহ রাহ.সহ অনেক আলিম বলেছেন, এই রাতে ইবাদত হবে একাকী, সম্মিলিত নয়। সম্মিলিত ইবাদতের কথা কোনো হাদীসেই আসেনি। বরং এটি একটি বাজে প্রথা, যা বিদ'আতের পথ প্রশস্ত করে।]
//অত রাকাতে অতবার অমুক সূরা ইত্যাদি টাইপের যত স্পেইশাল নামায আছে তার সবই বাতিল, ভিত্তিহীন//

চার:-
রাসূল (সাঃ)শাবান মাসে খুব বেশি পরিমাণে সিয়াম (রোযা) রাখতেন সেহেতু এই মাসে সিয়াম রাখা যাবে যেকোনো দিন। আর প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম রাখা তো সুন্নাত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সিয়াম রাখলে কোনো সমস্যা নেই.সাবান মাসের. ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সিয়াম পালন করতেন. তারপর আর সাবান মাসে সিয়াম পালন করতেন না.....

পাঁচ :-
বরাতের  এই রাত ভাগ্যরজনী নয় .ভাগ্যরজনী হলো, লাইলাতুল কদর। প্রয়োজনে দেখুনঃ সূরা আল কদরের তাফসীর, যেকোনো তাফসীরগ্রন্থ থেকে।
[শব্দটি মূলত "বরাত" না, "বারাআত"। বারাআত মানে মুক্তি। যেহেতু এই রাতে মুক্তির সুসংবাদ এসেছে তাই এই নাম]
লাইলাতুল নেসফে সাবান হলো মুক্তির রাত.দুইটি পাপ হতে দূরে থাকতে পারলে আল্লাহ পাক আপনার ও আমার সকল মুসলমানেদ ক্ষমা করে দিবেন.ইনশাআল্লাহ
এই রাতে কি হালুয়া-রুটি  কক্ষণো নয়। বরং এটি একটি নিকৃষ্ট প্রথা, যা আমাদের সমাজে চালু হয়েছে। তেমনি হৈ-হুল্লোড়, আতশবাজি ফুটানো, মাসজিদে জমায়েত হওয়া -- এগুলো খুবই বাজে প্রথা। যা কোনো হাদীসেই নেই।
এই রাতে গোসলের কোনো ফযিলত না, এটি একটি বাজে প্রথা। কেউ সুন্নাত মনে করে এই রাতে গোসল করলে সেটি হবে বিদ'আত. কারন এটা কোনো সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়.

সুতরাং আমরা প্রমান পাইযে বরাতের রাতে ইবাদত করা কোন সহিহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয়.যা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে তা সব ঝাল হাদিসের আমল.
তসহিহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়. লাইলাতুল নেসফে বি সাবান বা (শবে বরাতের) রাত্রি  আছে.ঐ রাতে আল্লাহ পাক তাহার বান্দাদের ক্ষমা করেন.
(আল্লাহ পাক যেন আমাদের সবাইকে হেদায়েত ও ক্ষমা দান করেন আমিন)

এই লেখাটি বিভিন্ন আলেম ওলামাদের বক্তব্য হতে নেয়া.

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

একশত চারটি"আসমানী কিতাব"কোথায় আছে.

যুগে যুগে মহান আল্লাহ পাক মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে নবী রাসূলদের মাধ্যমে আসমানী কিতাব পেয়ারন করেছেন.আসমানী কিতাব এই জন্য দিয়েছেন যে নবী রাসূলদের অনউপস্তিতে যেন মানুষ সঠিক দিক নির্দেশনা পায়.এবং ভুলে গেলে কিতাব দেখে তা সংশোধন করে নিতে পারে..
মহান আল্লাহ পাক সর্বমোট একশত চারটি কিতাব ভিবিন্ন নবী রাসূলদের মাধ্যমে এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন. তারমাঝে চারটি হলো বড় কিতাব আর একশটি দুইটি ছোট.
এখন কথা হলো এই আসমানী কিতাবগুলো কোথায়. আমরা দুটি কিতাবের সন্ধান পাই. আরো বাকী একশত দুইটি. এই কিতাবগুলো কোথায় আছে.আজো সেই কিতাবের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা.
*একটু তদন্ত করে দেখা যাক কিতাবগুলোর কীন সন্ধান পাওয়া যায় কিনা..
*আমরা সবাই জানি একশত চারটি কিতাবের চারটি বড় যেমন.
1.তাওরাত
2.যাবুর
3.ইঞ্জিল ও
4.আল কোরআন
এই চারটি ছারা বাকী একশত আসমানী কিতাবের নাম আমি কোথাও পাইনি. আর কেউ যানে কিনা তাও জানিনা.
যদিও কোন নবীর উপর কতগুলো কিতাব অবতরণ হয়েছে তা অনেকেই যানে.এবং হাদিসে উল্লেখ আছে.
যেমন. শীশ নবীর নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যা ৫০টি.পর্যায়ক্রমে ১০টি ৫টি ৩টি ২টি এবং ১টি এইভাবে বিভিন্ন নবী রাসূলদের উপর পেয়ারন হয়েছিলো.
মূলকথা হলো যে বড় চারখানা কিতাব নাযিল হয়েছিলো সেগুলোতে পূর্বের সকল কিতাবের কথা উল্লেখ ছিলো.যেমন আল কোরআনে সকল কিতাবের কথা উল্লেখ আছে
*বর্তমান দুনিয়ায় চারটি বড় আসমানী কিতাবের কথা ও নাম আছে.এবং চারটি বড় ধর্মের অনুশারী আছে. যেমন ....
1.হিন্দু
2.বৌদ্ধ
3.খৃস্টান ও
4.ইসলাম.
*এখন আলোচনা করা যাক কোন ধর্মের নিকট কোন আসমানী কিতাব আছে.প্রথমে ইসলাম দিয়ে শুরু করা যাক.তাহলে বিষয়টা বুঝতে সহজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি.

1.আল কোরআন) (ইসলাম)
আমরা সবাই জানি আমরা যারা মুসলমান আছি আমাদের নিকট সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কোরআন আছে.
আর নবী (সঃ) এর উপর শরিয়তের বিধান ও আল কোরআন  অর্পিতো হওয়ার পর পূর্ববর্তী সকল নবীর শরিয়ত ও আসমানী কিতাবের হুকুম  রহিতো হয়ে যায়.আর আমাদের জন্যে আল্লাহ পাক যেগুলোকে প্রয়োজন মনে করেছে সেইগুলো আল কোরআনে উল্লেখ করে দিয়েছেন. এবং নবী (সঃ) এর মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন ..........
আল কোরআন যে মুসলমাদের হাতে তার প্রমানের কোন প্রয়োজন নাই. তারপরও ধারাবাহিকতা রক্ষায় কিছু বল্লাম.

2.ইঞ্জিল..)(খৃস্টান)
সকল মুসলমারাই বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আঃ) এর উপর পেয়ারিত হয়েছে ইঞ্জিন কিতাব. আর ইঞ্জিন কিতাব নাযিল হয়েছিলো আল কোরআন নাযিলের প্রায় দুই হাজার আগে. আল কোরআন কাছাকাছি অবস্থানে নাযিল হওয়ার কারনে আমরা ইঞ্জিন সমন্ধে অবগত.
খৃস্টান ধর্মের অনুশারীরা ইঞ্জিল কিতাব কে বাইবেল বলে অবহিত করো. এবং ঈসা (আঃ) বলে জিসু
আল কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে বুঝা যায় ইঞ্জিল কিতাব হলো বর্তমানে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিকটে.যা বাইবেল হিসাবে পরিচিত.  এটাও প্রমাণিত ......

*এখন কথা হলো চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে ইঞ্জিল ও আল কোরআনের সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় কিন্তুু তাওরাত ও যাবুর কোন ধর্মাবলম্বীদের কাছে আছে আজও কেউ বলতে পারেনি.
যেহেতু চারটি বড় আসমানী কিতাবের মধ্যে দুটি কিতাবের অনুশারী প্রকাশিত. আর দুটি অপ্রকাশিত.সেহেতু হতে পারে বাকী দুটি বড় কিতাব. বাকী দুটি বড় ধর্মের নিকট আছে. যদিও এই জমানায় সেইগুলা অকেজো.

3.যাবুর.......(বৌদ্ধ)
যাবুর কিতাব নাযিল হয়েছিলো হযরত দাউদ (আঃ) এর উপর. কবে "কখন "কত বছর আগে তা কেউ বলতে পারবে না.
তবে এটা বলা যায় যাবুর কিতাব তাওরাতের পর নাযিল হয়েছে. ইহাতে বুঝা যায় হযরত মুছা (আঃ) এর পর দাউদ নবীকে আল্লাহ পাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন.
সে সময় ইসলাম ও খৃস্ট ধর্ম কোনটাই ছিলো না.
তখন দুনিয়াতে একশত দুইটি কিতাব ছিলো.
তারমধ্যে বড় কিতাব ছিলো দুইটি. তাওরাত ও যাবুর.
দাউদ নবীর আগমনের পর এই দুনিয়াজুড়ে তাওরাত কিতাবের অনুশারী ছিলো বেশি. যখন মানুষ হাজার হাজার বছর দরে তাওরাত কিতাবের অনুশরন করে আসছিলো তখন মানুষ আস্তে আস্তে নিজেদের সুবিধামত কিতাবের ধারাকে পরিবর্তন করতে শুরু করলো.যখন পরিবর্তন করতে করতে চরম পর্যায়ে পৌছালো তখন আল্লাহ পাক দাউদ নবীকে দুনিয়াতে পাঠালেন মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে. আর যখন দাউদ নবীর উপর যাবুর কিতাব পেয়ারন করলেন তখন তাওরাতের সকল হুকুম রহিতো হয়ে যায়.
যেমন আল কোরআন নাযিলের পর ইঞ্জিল কিতাবের হুকুম রহিতো হয়েছিলো.
দাউদ নবীর পর বাদশা সোলাইমান এই বিশ্ব সাশন করেছিলো এবং আল্লাহ পাক তাহাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন.
বাদশা সোলাইমান যাবুর কিতাবের বানী প্রচার করেছিলেন সারা দুনিয়ায়.এবং ন্যায় প্রতিস্ঠা করেছিলেন এই দুনিয়াজুড়ে.
তখন ও তাওরাতের কিছু অনুশারী ছিলো. তাহারা আগের কিতাব নিয়ে ব্যস্ত ছিলো. যেমনটা এখন খৃস্টানরা ইঞ্জিল নিয়া পরে আছে.
যখন ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে আগমন করে তখন হিন্দু ও বুদ্ধ ছিলো" খৃস্টান ও মুসলমান ছিলোনা" কারন তখন ঈসা(আঃ) দুনিয়াতে এসেছেন" আর মুহাম্মদ (সঃ) আগমনের অনেক বাকী.
ঐ দৃষ্টিকোনে লক্ষ্য করলে দারনা করা যায় এবং  বড় ধর্ম ও কিতাবের নাযিলের অনুপাতের দিকে তাকালে বুঝা যায় হয়তো যাবুর কিতাব বর্তমানে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট আছে যা এখন তৃপঠী হিসাবে পরিচিত.
এখানে একটা কারন হলো ইতিহাস.
আজ থেকে এক থেকে দের হাজার বছর আগে আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষ ছিলো বুদ্ধ ধর্মালম্বী আর বাকীরা ছিলো হিন্দু ও বিভিন্ন উপজাতি. ভারতবর্ষ সাশন করতো একসময় বৌদ্ধরা" পরে বৌদ্ধদের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয় কিছু জালেম হিন্দু গুস্টি. পরে বৌদ্ধরা মুসলমানদের স্বরনাপর্ন হয় এবং মুসলমানরা বৌদ্ধদের সহযোগিতা করে"অতপর ভারতবর্ষ মুসলমানরা দখলে নেয়..
এরপর মুসলমানদের উদারতা সততা দেখে হাজার হাজার বৌদ্ধ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়.
শেষ কথা হলো যাবুর কিতাব যে বৌদ্ধদের হাতে তৃপঠি হিসাবে পরিচিত  তা শুধু আমি কিতাব নাযিলের ধারাবাহিকতায় দিকে তাকিয়ে বলেছি. আসলে এটা কোথায় আছে কোন ধর্মের লোকেদের নিকটে আছে তা অপস্ঠ.

4.তাওরাত ......(হিন্দু)
হযরত মুছা (আঃ) এর উপর নাযিলকৃত কিতাব.
এই কিতাব কত হাজার বছর আগে নাযিল হয়েছে তা আল্লাহ পাক ভালো জানেন.
তাওরাত কিতাবের আগে পরে অনেক কিতাব নাযিল হয়েছে. বলা যেতে পারে তাওরাত কিতাব সব কিতাবের মাঝামাঝি সময়ে নাযিল হয়েছে. আর তাওরাত হলো বড় চার কিতাবের মধ্যে নাযিলকৃত প্রথম বড় আসমানী কিতাব ...
হযরত ঈসা (আঃ) এর জমানায় অনেক লোক ছিলো যারা হযরত মুছা (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. তার সাথে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. এক কথায় বলতে গেলে দুইজনেরই অনুশারী ছিলো.......
ঈসা (আঃ আগমনের পর তারা তিনটি বাগ হয়. একদল মুছা (আঃ) একদল দাউদ (আঃ) আর একদল চলে আসলো ঈসা (আঃ) এর দিকে .
কারন নবী ইসরাইলরা ছিলো নাফরমান জাতি সব নবীদের জ্বালিয়েছে এই বনী ইসরাইলের জাতি.আল্লাহ পাকের কোন কথা তাদের কানে পৌছাতো না. তাদের নিকট আল্লাহ পাক হাজার হাজার নবী পাঠিয়েছেন. কিন্তুু তাদের অধিকাংশই নবীনদের কথা শুনেনি.
তাহারা হাজার হাজার নবীকে হত্যা করেছিলো.
এক"কথায় বলতে অবাধ্য জাতি হলো বনি ইসরায়েল.
হযরত মুছা (আঃ) আমলে একদল লোক গরুর পূজা করেছিলো. তখন তারা মুছা (আঃ)এর কথা অমান্যে করে গুবস্বের পূজা করেছিলো.
পরে তাদের শাস্তি দিয়েছিলো .
কিন্তুু এখন কথা হলো আজও কিছু ধর্মালম্বী আছে যাহারা আজও গুবস্বের পূজা করে.
হতে পারে তাহারাই তাওরাত কিতাবের অনুশারী.
আর পর্যায়ক্রমে বিচার করলে দেখা যায়. চারটি বড় কিতাবের অনুশারী মধ্যে যদি চারটি বড় ধর্ম দরে নেই তাহলে শেষ যা থাকে হিন্দু (যা সবচেয়ে পুরাতন ও অধিক রুপান্তরিত) যাদের ধর্ম গ্রন্থের সাথে কর্মের কোন মিল নাই...
আর তাওরাত সব বড়  কিতাবের আগের কিতাব  তাই হতে পারে তাওরাত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাতে. যা বর্তমানে গীতা হিসাবে পরিচিত.
কারন মুছা(আঃ) এর সময় একটা দল ছিলো যারা মুছা(আঃ) এর কথা অমান্য করে গরুর পূজা করেছিলো. আজও হিন্দুদের মাঝে গরুকে পূজা করা বিদ্ধামান আছে.
সেই অনুপাতে বল্লাম তাওরাত কিতাব হিন্দুদের হাতে যা গীতা হিসাবে পরিচিত .
আসলে আজও কেউ বলতে পারেনি কোনটা সঠিক ......

আর বাকী একশত কিতাবের নাম কারো জানা আছে কি"না তাও কেউ যানে না.
তারপর"ও এই চারটি বড় ধর্ম ছারা "ছোট ছোট আরো শতাধিক ধর্মের সন্ধান আছে" কে জানে হতে পারে সেগুলো একসময় ছোট কিতাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলো কি"না. যা আজও দুনিয়াতে টিকে আছে.

এলিয়েন কি সত্যি আছে?

এলিয়েন আছে সচ্ছ প্রমান(আল কোরআনের আলোকে) এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রানী আজ আল কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান   .করবো যে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ ...