রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১৬

মাযহাব মানা কি?

মাযহাব মানা কি ফরয…?

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র।

● মাযহাব সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের ভুল ধারনা রয়েছে। এ মাযহাবকে সামনে রেখে অনেকেই সহীহ হাদিসকে উপেক্ষা করে। সহীহ হাদিস ছেড়ে দিয়ে, রাসূলুল্লাহ্‌ (সা:) এর আদর্শ ছেড়ে দিয়ে, অন্য মানুষের কথার অন্ধ অনুকরণ করে। কিন্তু এরূপ করা ঠিক নয়।

● আল্লাহ্‌ পাক কুরআন নাযিল করেছেন এবং রাসূলুল্লাহ্‌ (সা:)-কে প্রেরণ করেছেন। তার আনুগত্য, তার অনুসরণ ফরয করেছেন। সুতরাং কুরআন এবং সহীহ হাদিস অনুসারে জীবন যাপন করতে হবে। কুরআন এবং সহীহ হাদিস অনুসারে ইবাদত করতে হবে। কুরআন এবং সহীহ হাদিস অনুসারে নিজের জীবন গঠন করতে হবে। কুরআন এবং সহীহ হাদিস অনুসারে ওযু করতে হবে, নামায পড়তে হবে, রোযা পালন করতে হবে, যাকাত দিতে হবে, হজ্জ করতে হবে ইত্যাদি। সমস্ত মাস্‌লা মাসায়েল কুরআন এবং সুন্নাহ্‌ থেকে নিতে হবে। যে সব আলেম গন কুরআন, সুন্নাহ্‌র আলোকে বলবেন তাদের কথা নিতে হবে। কুরআন, সুন্নাহ্‌ বিরোধী বা দুর্বল হাদিসের কোন মাযহাব বা মাস্‌লা আমরা যদি জানতে পারি তাহলে আমরা তা ছেড়ে দিব, সেটি আমাদের জন্য ফরয। তাই সহীহ দলিল জেনে নেয়ার পর কোন মানুষের জন্য জায়েয নয় যে অন্ধ ভাবে কোন দুর্বল কথা মানবে, ভিত্তিহীন কথা মানবে, কুরআন বা সহীহ হাদিস বিরোধী কোন আমল করবে বা বিশ্বাস করবে।

● “কুদুরী” কিতাবটি হানাফি মাযহাবের অত্যন্ত পুরাতন ফিখ্‌হের কিতাব। হানাফি মাযহাবের প্রসিদ্ধ “হেদায়া” কিতাবে “কুদুরীর” মাস্‌লা মাসায়েল সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কুদুরী হচ্ছে হানাফি মাযহাবের সংক্ষিপ্ত ফেখ্‌হের কিতাব। কুদুরী সাহেব তার কিতাব “কুদুরী” লিখেছেন ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর ইন্তেকালের প্রায় ২৫০ বছর পর। আর এই কিতাব যে ইমাম আবু হানিফার এর প্রেক্ষিতে প্রমান, সনদের দ্বারা দেয়া হয় নি।

● সনদ কি…?:
সনদ হচ্ছে সূত্র, অর্থাৎ একটি কথা কার কাছ থেকে শুনা হয়েছে তার বর্ণনা। যেমন কোন তাবা-তাবেঈ যদি হাদিস বর্ণনা করে, তবে তাকে বলতে হবে, তিনি তা কার কাছ থেকে শুনেছেন। তিনি বলবেন আমি আমুক তাবেঈ থেকে শুনেছি, সেই তাবেঈ কোন সাহাবী থেকে শুনেছে এবং সে সাহাবী কি রাসূলুল্লাহ্‌ (সা:) থেকে শুনেছে না অন্য কোন সাহাবী থেকে শুনেছে তার বর্ণনা লাগবে। আরও লক্ষ্য রাখতে হবে যে, বর্ণনা কারীর মধ্যে ব্যক্তিরা নির্ভর যোগ্য কি না।

তাই কুদুরী সাহেব যে ইমাম আবু হানিফার মতামত বর্ণনা করছেন তার সূত্র দেন নি। অর্থাৎ তিনি কার কাছ থেকে শুনেছেন, যার কাছ থেকে তিনি শুনেছেন সে কার কাছ থেকে শুনেছেন, এভাবে ইমাম আবু হানিফা (রহ:) পর্যন্ত পৌছাতে হবে এবং বর্ণনা কারীরা নির্ভর যোগ্য কি না বুঝতে হবে। কারন কুদুরী সাহেব তার কিতাব “কুদুরী” লিখেছেন ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর মৃত্যুর ২৫০ বছর পর। কিন্তু কোন সূত্র বা সনদ দেয়া হন নি, তাই এই কিতাব আদৌ ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর কি না আমরা জানি না, আল্লাহ্‌ই ভাল জানেন।

● কেউ কেউ বলে থাকে মাযহাব মানা ফরয। তাহলে প্রশ্ন হল কখন ফরয হল? এবং ফরয কে করল? একমাত্র আল্লাহ্‌ কোন কিছু ফরয করার ক্ষমতা রাখেন। তাই এই ফরযের বিধান হয় কুরআনে থাকতে হবে অথবা রাসূলুল্লাহ্‌ (সা:) এর আদেশ ভিত্তিক হাদিস থাকতে হবে। কিন্তু এরূপ কোন কিছু কুরআনে বা হাদিসে নেই। যেহেতু নেই তাই তারা বলেন ইজমা হয়ে গিয়েছে। ইজমা অর্থ কি? ইজমা হচ্ছে আলেম দের ঐক্য মত যে, মাযহাব মানা ফরয। আর ইজমা যদি হয়েই থেকে তবে, সে ইজমা কোন দেশের কোন স্থানে হয়েছে, কত সালে হয়েছে এবং কোন কোন আলেমের মধ্যে ইজমা হয়েছে তাও উল্লেখ করতে হবে। কিন্তু তিনি তা করেন নি। তাই তার এই ইজমার কোন ভিত্তি নেই।

কিতাবের বাংলা অনুবাদকারী ভূমিকাতে লিখেছেন: “সাধারণ শ্রেণীর ইমাম ও মুস্তাহিদ গনের মাযহাব সুবিন্যস্ত ও সন্নিবেশিত না থাকার কারনে। কালের পরিক্রমায় তাদের অনুসারী লোপ পেতে থাকে। পরিশেষে মাযহাব চতুষ্টয়ের উপর হক মাযহাব সীমিত হয়ে যায় (অর্থাৎ চার মাজহাবে মধ্যে হক বিদ্যমান আছে, শুধু মাত্র একটিতে সকল হক নেই), এই ব্যপারে উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়”।

অর্থাৎ তিনি বলছেন, হক আছে চারটি মাযহাবের মধ্যে। তাহলে একটি মাযহাব মানা ফরয তাদের কিতাব অনুসারেই তো ভুল। আর আমাদেরও এই ক্ষেত্রে একই মত যে হক নিতে হবে চারটি মাযহাব থেকে এবং আমাদের মূল মাযহাব হচ্ছে কুরআন এবং সহীহ হাদিস। তাই অন্ধ ভাবে (কুরআন বা হাদিস দলীল বিহীন) কোন মাযহাবকে ফরয হিসেবে মানা জায়েয নয়

এলিয়েন কি সত্যি আছে?

এলিয়েন আছে সচ্ছ প্রমান(আল কোরআনের আলোকে) এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রানী আজ আল কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান   .করবো যে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ ...