সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

শহীদ"বলা নিয়ে বিতর্ক ও বাস্তবতা

"শহীদ" বলা নিয়ে বিতর্ক ও বাস্তবতা:

শাহাদাৎ আল্লাহ প্রদত্ত অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত। এটি প্রাপ্তির তামান্না প্রত্যেক মুমিনের অন্তরেই থাকা উচিৎ। তবে সবার ভাগ্যে এটি জোটে না। এর জন্য চাই পাহাড় সম মজবুত ঈমান। যে ঈমান জালেমের রক্ত চক্ষুকে সামান্যও পরোয়া করে না। এ নিয়ামাতে সেই ধন্য হয়, যে আল্লাহর পথে হাসতে হাসতে জীবন দিতে সদা প্রস্তুত থাকে।

রাসূল সা, বলেছেন- যে ব্যক্তি আন্তরিক ভাবে শাহাদাতের তামান্না লালন করে, তাকে তা দেয়া হবে। যদি সে আঘাত প্রাপ্ত নাও হয়, (মুসলিম -৪৭৭৭)।

আর যে আল্লাহর রাস্তায় আঘাত প্রাপ্ত হয়ে নিহত হয়, সে তো নিশ্চিত শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৪)।  তাকে তো মৃত বলতে নিষেধ করা হয়েছে, (সূরা বাকারাহ- ১৫৪)।

শাহাদাৎ যেহেতু অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ বিষয়, তাই এ সম্মানে উম্মতে মুহাম্মাদী সা, এর বেশি সংখ্যক লোক যেন সম্মানীত হতে পারে, তাই রাসূল সা, আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও আরো অনেক কে শহীদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

তিনি বলেছেন- ১. যে আল্লাহরর পথে নিহত হয় সে শহীদ, ২. যে পেটের পীড়ায়, ৩.মহামারিতে, ৪. পানিতে ডুবে, ৫. গর্ভাবস্হায়, ৬. আগুনে পুড়ে ও ৭. ক্ষয় রোগে মারা যায় সে শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৩,  ২৮০৪)।

আল্লাহর পথে নিহত ব্যক্তি শহীদ এটাতো কুরআনের বক্তব্য। 
কিন্তু ইদানিং কিছু ভাই বক্তৃতা- বিবৃতি দিয়ে বেড়াচ্ছেন-   রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করার কারণে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদেরকে শহীদ বলা যাবে না।

তারা বলতে চান- তারা যদি নির্দোষ হন, মাজলুম হয়ে মৃত্যুবরণ করার কারণে  তাদের শাহাদাতের জন্য দুআ করা যাবে। কিন্তু শহীদ বলা যাবে না।

আমার প্রশ্ন- দ্বীন কায়েমের জন্য মাজলুম হয়ে নিহত হওয়া, আর অন্যান্য পার্থিব বিষয় নিয়ে মাজলুম হয়ে নিহত হওয়া কি এক জিনিষ?

যদি দ্বীনি আন্দোলন করার কারণে হত্যা করা হয়, আর তাকেই যদি শহীদ বলা না যায়, তাহলে শহীদ কাকে বলা হবে?

উম্মু ওরাকাহ রা, রাসূল সা,এর নিকট বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার অনুমতি চেয়েছিলেন। রাসূল সা, বলছিলেন- স্বগৃহে অবস্হান কর, আল্লাহ তোমাকে শাহাদাৎ নসীব করবেন।
রাবী বলেন- এ জন্য তাকে শহীদ বলা হতো, (আবু দাউদ- ৫৯১)।

রাসূল সা, বলেছেন, যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়,  সে শহীদ, (ইবনু মাজাহ- ২৮০৪)।

অথচ,  কিছু ভাই শুধু শুধু অপ্রয়োজনীয় সন্দেহ তৈরী করছেন।

কাউকে শহীদ বলা, আর জান্নাতের সার্টিফিকেট দেয়া এক কথা নয়। আমরা তো তাদের কে জান্নাতের সার্টিফিকেট দিচ্ছি না।

আপাত দৃষ্টিতে দ্বীনের জন্য তাদের আত্ম ত্যাগের স্বীকৃতি সরূপ  উত্তম ধারণা পোষণ করে আমরা তাদেরকে  শহীদ বলছি। এভাবে আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তিেকে শহীদ বলার রেওয়াজ ইসলামের শুরু থেকেই চলে আসছে।

কিন্তু শহীদের প্রকৃত পুরস্কার নির্ভর করবে, তার নিয়্যাতের উপর। নিয়্যাতের গরমিলের কারণে আল্লাহর রাস্তায় নিহত ব্যক্তিকেও জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে, (মুসলিম-৪৭৭১)।

আমরা কারো নিয়্যাতের উপর হাত দিতে চাই না। যে লোকটিকে নিয়্যাত ভাল না থাকায় জাহান্নামে ফেলে দেয়া হবে, রাসূল সা, তার আলোচনা করতে গিয়ে- "উস্তুসহিদা" তথা তাকে শহীদ করা হয়েছে শব্দটি ব্যবহার করেছেন। (মুসলিম- ৪৭৭১)।

যে ব্যক্তিটি জাহান্নামি। শুধু আল্লাহর রাস্তায় নিহত হওয়ার কারণে, আপাত দৃষ্টিকোণ থেকে তাকেও রাসূল সা, শহীদ বলেছেন। আর যার নিয়্যাত ও কর্ম সম্পর্ক আপনি কিছুই জানেন না।  শুধু মাত্র আল্লাহর দ্বীনের কথা বলাতেই যাকে হত্যা করা হয়েছে এবং যারা তাকে হত্যা করেছে, তারাও জানে, আল্লাহর দ্বীন কায়েমের কথা বলাই তার একমাত্র অপরাধ। তারপরও আপনাদের শুধু সন্দেহ লাগে, ওদের শহীদ বলা যাবে কিনা।

কেন আপনাদের এত সন্দেহ? প্রতিহিংসা নয়তো?

বলবেন, গণতন্ত্ররের কারণে এরা শহীদ নয়!

গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ তো নির্বাচন এলে। যারা শুধু কুরআনের দাওয়াত দিতে গিয়ে নিহত হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কী বলবেন?

জালেম শাসকের বিরুদ্ধে হক কথা বলা শ্রেষ্ঠ জেহাদ। এ হাদীসটি কি শুনেন নি?

অন্যরা শহীদ হলো কি না, তা নিয়ে বক্তব্য তো ভালই দিচ্ছেন। কিন্তু জালেম শাসকদের বিরুদ্ধে আপনাদের কয়টি বক্তব্য ইউটিউবে আছে?

বরং আমরা দেখতে পাচ্ছি,  জালেমদের দোসরদের কে মঞ্চে মেহমান হিসেবে দাওয়াত দিচ্ছেন। আবার শ্লোগানও দিচ্ছেন!

আমরা আপনাদের দ্বীনি ভাই। শিরক ও বিদআতের বিরুদ্ধে আমরাও আপনাদের সহযোদ্ধা।

তাই আসুন অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করে পারস্পরিক দূরত্ব তৈরী করা থেকে বিরত থাকি।

দ্বীনের বিধানের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া ভাল, কিন্তু খুত খুতে হওয়া ভাল নয়।

বি, দ্র, সবাই কে শালীন ভাবে মন্তব্য করার জন্য অনুরোধ করছি।

বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০১৭

লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত ইসলামী শরিয়তে আছে কি"না

বর্তমানে ইসলামী শরিয়তে লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত হলো বড় একটি বিতর্কিত বিষয় কেউ বলেছে শবে বরাত আছে আবার কেউ বলেছেন শরিয়তে শবে বরাত বলতে কিছুই নাই.
আসলেই কি শরিয়তে শবে বরাত বলতে কিছুই নাই.যদি নাই থাকতো তাহলে এতো বিতর্ক কেনো.আসলেই শবে বরাত কি. আসুন সঠিকটা কি জেনে নেয়া যাক.
এক:-
শবে বরাত দুটি শব্দের সংমিশ্রণ শব ও বরাত. শব অর্থ দিন আর বরাত অর্থ ভাগ্য. বে বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী.
শবে বরাত শব্দটি"আল কোরআন ও হাদীসে কোথাও পাওয়া যায়নি.আল কোরআন ও হাদীসে ভাগ্য রজনী হিসাবে যা পাওয়া যায় তা হলো লাইলাতুল কদর.
তাহলে বরাত শব্দটি আসলো কোথায় হতে.

দেখা যাক বরাত কি ও কোথায় হতে আসলো.
বরাত শব্দটি একটি প্রচলিত পরিভাষা যা আবিষ্কার হয়েছে রাসূল (সঃ) এর ওফাতের প্রায় পাঁচশত বৎসর পর. সাহাবী" তাবেয়ীন"তাবে তাবেয়ীন"ও চার ঈমামদের আমলেও বরাত নামক কোন শব্দ পাওয়া যায়নি.
বরাত শব্দটি একটি ফারসি পরিভাষা. এটা কোন ছুন্নাতের পরিভাষা নয়.
যেমন. নামাজ"রোজা"পীর"শবে বরাত এইগুলি কোন ছুন্নাতের পরিভাষা নয় এই শব্দগুলো আল কোরআন ও হাদিসের কোনো যায়গায় নেই. এইগুলি বলায় কোন পাপ নেই ও সাওয়াব ও নেই এইগুলি হলো আঞ্চলিক পরিভাষা . 
যা আছে তা হলো ছুন্নাতের পরিভাষা যেমন.সালাত"সিমায়"সহবত"ও লাইলাতুল নেসফেবি সাবান.
আল কোরআন ও হাদিসে কোথাও বরাত শব্দ নেই কিন্তুু লাইলাতুুল নেসফে বি সাবান (বা সাবানের মধ্যরাত) উল্লেখ আছে.
সাবানের মধ্যরাতকে ফারসি পরিভাষায় বরাত বলে উল্লেখ করেছে.শবে বরাত বলাতে কোন ক্ষতি নেই.
তবে লাইলাতুল নেসফে বি সাবান বল্লে একটা ছুন্নাত আদায় হবে এবং সাওয়াব হবে.কারন এটা শরিয়তের পরিভাষা.

দুই:-
লাইলাতুল নেসফে বি সাবান( শবে বরাত) নিয়ে অনেকে হাদীস রয়েছে. তবে মুহাদ্দিসদের মতে বেশির ভাগ হাদিস হলো ঝাল ও বানোয়াট. এই নিয়ে দুইএকটি সহিহ হাদিস রয়েছে.
যেমন
রাসূল (সা.) বলেন, 'আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবান ( অর্থাৎ শবে বরাত) এর রাতে তাঁর সকল সৃষ্টির প্রতি (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ (শিরক ও হিংসা)  পোষনকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।'যদিও সে ঘুমিয়ে থাকে (সহীহ ইবনে হিব্বান ১২/৪৮১)
এই মর্মে দুইতিনটি হাদিস আছে. এবং এই হাদিসটিকে ইমাম বারী রাহঃ সহিহ বলেছেন.
এই হলো মহান আল্লাহ পাকের  সাধারণ ক্ষমা যা থেকে কেউ বঞ্চিত হবে না। তবে শর্ত দুটোঃ শির্কের সাথে সম্পৃক্ত থাকা যাবে না এবং কোনো মুসলিমের প্রতি বিদ্বেষ রাখা যাবে না।

তিন:-
এই রাতের কি বিশেষ কোনো আমল আছে কি"না.
রাসূল (সঃ) সাহাবা ও তাবেয়ীন কারোই এই রাত উজ্জাপন করে কোন আমল করেননি.
.সহীহ সনদে এই রাতের কোনো বিশেষ আমল নেই। সহিহ হাদিসে কোন আমল পাওয়া যায় না.তবে কেউ যদি অন্য দিনের মত আমল করে তাহলে কোন ক্ষতি নেই.
কিন্তুু সম্মেলিত ভাবে মসজিদে গিয়ে রবাতের নিয়তে নামাজ আদায় করা. দু'আ ও কবর যিয়ারত করা একেবারেই উচিৎ নয়.

মা'আরিফুল কুরআনের লেখক মুফতী শফী রহ. বলেন, রাসূল সা. যেহেতু জীবনে মাত্র একবার এই রাতে বাকী গোরস্তানে গিয়েছেন তাই আমাদেরও একবারের অধিক, প্রতিবছর গোরস্তানে যাওয়া উচিত নয়।
[ইবনু তাইমিয়াহ রাহ.সহ অনেক আলিম বলেছেন, এই রাতে ইবাদত হবে একাকী, সম্মিলিত নয়। সম্মিলিত ইবাদতের কথা কোনো হাদীসেই আসেনি। বরং এটি একটি বাজে প্রথা, যা বিদ'আতের পথ প্রশস্ত করে।]
//অত রাকাতে অতবার অমুক সূরা ইত্যাদি টাইপের যত স্পেইশাল নামায আছে তার সবই বাতিল, ভিত্তিহীন//

চার:-
রাসূল (সাঃ)শাবান মাসে খুব বেশি পরিমাণে সিয়াম (রোযা) রাখতেন সেহেতু এই মাসে সিয়াম রাখা যাবে যেকোনো দিন। আর প্রতি চন্দ্রমাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ সিয়াম রাখা তো সুন্নাত। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে সিয়াম রাখলে কোনো সমস্যা নেই.সাবান মাসের. ১ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত সিয়াম পালন করতেন. তারপর আর সাবান মাসে সিয়াম পালন করতেন না.....

পাঁচ :-
বরাতের  এই রাত ভাগ্যরজনী নয় .ভাগ্যরজনী হলো, লাইলাতুল কদর। প্রয়োজনে দেখুনঃ সূরা আল কদরের তাফসীর, যেকোনো তাফসীরগ্রন্থ থেকে।
[শব্দটি মূলত "বরাত" না, "বারাআত"। বারাআত মানে মুক্তি। যেহেতু এই রাতে মুক্তির সুসংবাদ এসেছে তাই এই নাম]
লাইলাতুল নেসফে সাবান হলো মুক্তির রাত.দুইটি পাপ হতে দূরে থাকতে পারলে আল্লাহ পাক আপনার ও আমার সকল মুসলমানেদ ক্ষমা করে দিবেন.ইনশাআল্লাহ
এই রাতে কি হালুয়া-রুটি  কক্ষণো নয়। বরং এটি একটি নিকৃষ্ট প্রথা, যা আমাদের সমাজে চালু হয়েছে। তেমনি হৈ-হুল্লোড়, আতশবাজি ফুটানো, মাসজিদে জমায়েত হওয়া -- এগুলো খুবই বাজে প্রথা। যা কোনো হাদীসেই নেই।
এই রাতে গোসলের কোনো ফযিলত না, এটি একটি বাজে প্রথা। কেউ সুন্নাত মনে করে এই রাতে গোসল করলে সেটি হবে বিদ'আত. কারন এটা কোনো সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়.

সুতরাং আমরা প্রমান পাইযে বরাতের রাতে ইবাদত করা কোন সহিহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয়.যা আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে তা সব ঝাল হাদিসের আমল.
তসহিহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হয়. লাইলাতুল নেসফে বি সাবান বা (শবে বরাতের) রাত্রি  আছে.ঐ রাতে আল্লাহ পাক তাহার বান্দাদের ক্ষমা করেন.
(আল্লাহ পাক যেন আমাদের সবাইকে হেদায়েত ও ক্ষমা দান করেন আমিন)

এই লেখাটি বিভিন্ন আলেম ওলামাদের বক্তব্য হতে নেয়া.

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

একশত চারটি"আসমানী কিতাব"কোথায় আছে.

যুগে যুগে মহান আল্লাহ পাক মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে নবী রাসূলদের মাধ্যমে আসমানী কিতাব পেয়ারন করেছেন.আসমানী কিতাব এই জন্য দিয়েছেন যে নবী রাসূলদের অনউপস্তিতে যেন মানুষ সঠিক দিক নির্দেশনা পায়.এবং ভুলে গেলে কিতাব দেখে তা সংশোধন করে নিতে পারে..
মহান আল্লাহ পাক সর্বমোট একশত চারটি কিতাব ভিবিন্ন নবী রাসূলদের মাধ্যমে এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন. তারমাঝে চারটি হলো বড় কিতাব আর একশটি দুইটি ছোট.
এখন কথা হলো এই আসমানী কিতাবগুলো কোথায়. আমরা দুটি কিতাবের সন্ধান পাই. আরো বাকী একশত দুইটি. এই কিতাবগুলো কোথায় আছে.আজো সেই কিতাবের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা.
*একটু তদন্ত করে দেখা যাক কিতাবগুলোর কীন সন্ধান পাওয়া যায় কিনা..
*আমরা সবাই জানি একশত চারটি কিতাবের চারটি বড় যেমন.
1.তাওরাত
2.যাবুর
3.ইঞ্জিল ও
4.আল কোরআন
এই চারটি ছারা বাকী একশত আসমানী কিতাবের নাম আমি কোথাও পাইনি. আর কেউ যানে কিনা তাও জানিনা.
যদিও কোন নবীর উপর কতগুলো কিতাব অবতরণ হয়েছে তা অনেকেই যানে.এবং হাদিসে উল্লেখ আছে.
যেমন. শীশ নবীর নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যা ৫০টি.পর্যায়ক্রমে ১০টি ৫টি ৩টি ২টি এবং ১টি এইভাবে বিভিন্ন নবী রাসূলদের উপর পেয়ারন হয়েছিলো.
মূলকথা হলো যে বড় চারখানা কিতাব নাযিল হয়েছিলো সেগুলোতে পূর্বের সকল কিতাবের কথা উল্লেখ ছিলো.যেমন আল কোরআনে সকল কিতাবের কথা উল্লেখ আছে
*বর্তমান দুনিয়ায় চারটি বড় আসমানী কিতাবের কথা ও নাম আছে.এবং চারটি বড় ধর্মের অনুশারী আছে. যেমন ....
1.হিন্দু
2.বৌদ্ধ
3.খৃস্টান ও
4.ইসলাম.
*এখন আলোচনা করা যাক কোন ধর্মের নিকট কোন আসমানী কিতাব আছে.প্রথমে ইসলাম দিয়ে শুরু করা যাক.তাহলে বিষয়টা বুঝতে সহজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি.

1.আল কোরআন) (ইসলাম)
আমরা সবাই জানি আমরা যারা মুসলমান আছি আমাদের নিকট সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কোরআন আছে.
আর নবী (সঃ) এর উপর শরিয়তের বিধান ও আল কোরআন  অর্পিতো হওয়ার পর পূর্ববর্তী সকল নবীর শরিয়ত ও আসমানী কিতাবের হুকুম  রহিতো হয়ে যায়.আর আমাদের জন্যে আল্লাহ পাক যেগুলোকে প্রয়োজন মনে করেছে সেইগুলো আল কোরআনে উল্লেখ করে দিয়েছেন. এবং নবী (সঃ) এর মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন ..........
আল কোরআন যে মুসলমাদের হাতে তার প্রমানের কোন প্রয়োজন নাই. তারপরও ধারাবাহিকতা রক্ষায় কিছু বল্লাম.

2.ইঞ্জিল..)(খৃস্টান)
সকল মুসলমারাই বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আঃ) এর উপর পেয়ারিত হয়েছে ইঞ্জিন কিতাব. আর ইঞ্জিন কিতাব নাযিল হয়েছিলো আল কোরআন নাযিলের প্রায় দুই হাজার আগে. আল কোরআন কাছাকাছি অবস্থানে নাযিল হওয়ার কারনে আমরা ইঞ্জিন সমন্ধে অবগত.
খৃস্টান ধর্মের অনুশারীরা ইঞ্জিল কিতাব কে বাইবেল বলে অবহিত করো. এবং ঈসা (আঃ) বলে জিসু
আল কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে বুঝা যায় ইঞ্জিল কিতাব হলো বর্তমানে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিকটে.যা বাইবেল হিসাবে পরিচিত.  এটাও প্রমাণিত ......

*এখন কথা হলো চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে ইঞ্জিল ও আল কোরআনের সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় কিন্তুু তাওরাত ও যাবুর কোন ধর্মাবলম্বীদের কাছে আছে আজও কেউ বলতে পারেনি.
যেহেতু চারটি বড় আসমানী কিতাবের মধ্যে দুটি কিতাবের অনুশারী প্রকাশিত. আর দুটি অপ্রকাশিত.সেহেতু হতে পারে বাকী দুটি বড় কিতাব. বাকী দুটি বড় ধর্মের নিকট আছে. যদিও এই জমানায় সেইগুলা অকেজো.

3.যাবুর.......(বৌদ্ধ)
যাবুর কিতাব নাযিল হয়েছিলো হযরত দাউদ (আঃ) এর উপর. কবে "কখন "কত বছর আগে তা কেউ বলতে পারবে না.
তবে এটা বলা যায় যাবুর কিতাব তাওরাতের পর নাযিল হয়েছে. ইহাতে বুঝা যায় হযরত মুছা (আঃ) এর পর দাউদ নবীকে আল্লাহ পাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন.
সে সময় ইসলাম ও খৃস্ট ধর্ম কোনটাই ছিলো না.
তখন দুনিয়াতে একশত দুইটি কিতাব ছিলো.
তারমধ্যে বড় কিতাব ছিলো দুইটি. তাওরাত ও যাবুর.
দাউদ নবীর আগমনের পর এই দুনিয়াজুড়ে তাওরাত কিতাবের অনুশারী ছিলো বেশি. যখন মানুষ হাজার হাজার বছর দরে তাওরাত কিতাবের অনুশরন করে আসছিলো তখন মানুষ আস্তে আস্তে নিজেদের সুবিধামত কিতাবের ধারাকে পরিবর্তন করতে শুরু করলো.যখন পরিবর্তন করতে করতে চরম পর্যায়ে পৌছালো তখন আল্লাহ পাক দাউদ নবীকে দুনিয়াতে পাঠালেন মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে. আর যখন দাউদ নবীর উপর যাবুর কিতাব পেয়ারন করলেন তখন তাওরাতের সকল হুকুম রহিতো হয়ে যায়.
যেমন আল কোরআন নাযিলের পর ইঞ্জিল কিতাবের হুকুম রহিতো হয়েছিলো.
দাউদ নবীর পর বাদশা সোলাইমান এই বিশ্ব সাশন করেছিলো এবং আল্লাহ পাক তাহাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন.
বাদশা সোলাইমান যাবুর কিতাবের বানী প্রচার করেছিলেন সারা দুনিয়ায়.এবং ন্যায় প্রতিস্ঠা করেছিলেন এই দুনিয়াজুড়ে.
তখন ও তাওরাতের কিছু অনুশারী ছিলো. তাহারা আগের কিতাব নিয়ে ব্যস্ত ছিলো. যেমনটা এখন খৃস্টানরা ইঞ্জিল নিয়া পরে আছে.
যখন ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে আগমন করে তখন হিন্দু ও বুদ্ধ ছিলো" খৃস্টান ও মুসলমান ছিলোনা" কারন তখন ঈসা(আঃ) দুনিয়াতে এসেছেন" আর মুহাম্মদ (সঃ) আগমনের অনেক বাকী.
ঐ দৃষ্টিকোনে লক্ষ্য করলে দারনা করা যায় এবং  বড় ধর্ম ও কিতাবের নাযিলের অনুপাতের দিকে তাকালে বুঝা যায় হয়তো যাবুর কিতাব বর্তমানে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট আছে যা এখন তৃপঠী হিসাবে পরিচিত.
এখানে একটা কারন হলো ইতিহাস.
আজ থেকে এক থেকে দের হাজার বছর আগে আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষ ছিলো বুদ্ধ ধর্মালম্বী আর বাকীরা ছিলো হিন্দু ও বিভিন্ন উপজাতি. ভারতবর্ষ সাশন করতো একসময় বৌদ্ধরা" পরে বৌদ্ধদের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয় কিছু জালেম হিন্দু গুস্টি. পরে বৌদ্ধরা মুসলমানদের স্বরনাপর্ন হয় এবং মুসলমানরা বৌদ্ধদের সহযোগিতা করে"অতপর ভারতবর্ষ মুসলমানরা দখলে নেয়..
এরপর মুসলমানদের উদারতা সততা দেখে হাজার হাজার বৌদ্ধ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়.
শেষ কথা হলো যাবুর কিতাব যে বৌদ্ধদের হাতে তৃপঠি হিসাবে পরিচিত  তা শুধু আমি কিতাব নাযিলের ধারাবাহিকতায় দিকে তাকিয়ে বলেছি. আসলে এটা কোথায় আছে কোন ধর্মের লোকেদের নিকটে আছে তা অপস্ঠ.

4.তাওরাত ......(হিন্দু)
হযরত মুছা (আঃ) এর উপর নাযিলকৃত কিতাব.
এই কিতাব কত হাজার বছর আগে নাযিল হয়েছে তা আল্লাহ পাক ভালো জানেন.
তাওরাত কিতাবের আগে পরে অনেক কিতাব নাযিল হয়েছে. বলা যেতে পারে তাওরাত কিতাব সব কিতাবের মাঝামাঝি সময়ে নাযিল হয়েছে. আর তাওরাত হলো বড় চার কিতাবের মধ্যে নাযিলকৃত প্রথম বড় আসমানী কিতাব ...
হযরত ঈসা (আঃ) এর জমানায় অনেক লোক ছিলো যারা হযরত মুছা (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. তার সাথে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. এক কথায় বলতে গেলে দুইজনেরই অনুশারী ছিলো.......
ঈসা (আঃ আগমনের পর তারা তিনটি বাগ হয়. একদল মুছা (আঃ) একদল দাউদ (আঃ) আর একদল চলে আসলো ঈসা (আঃ) এর দিকে .
কারন নবী ইসরাইলরা ছিলো নাফরমান জাতি সব নবীদের জ্বালিয়েছে এই বনী ইসরাইলের জাতি.আল্লাহ পাকের কোন কথা তাদের কানে পৌছাতো না. তাদের নিকট আল্লাহ পাক হাজার হাজার নবী পাঠিয়েছেন. কিন্তুু তাদের অধিকাংশই নবীনদের কথা শুনেনি.
তাহারা হাজার হাজার নবীকে হত্যা করেছিলো.
এক"কথায় বলতে অবাধ্য জাতি হলো বনি ইসরায়েল.
হযরত মুছা (আঃ) আমলে একদল লোক গরুর পূজা করেছিলো. তখন তারা মুছা (আঃ)এর কথা অমান্যে করে গুবস্বের পূজা করেছিলো.
পরে তাদের শাস্তি দিয়েছিলো .
কিন্তুু এখন কথা হলো আজও কিছু ধর্মালম্বী আছে যাহারা আজও গুবস্বের পূজা করে.
হতে পারে তাহারাই তাওরাত কিতাবের অনুশারী.
আর পর্যায়ক্রমে বিচার করলে দেখা যায়. চারটি বড় কিতাবের অনুশারী মধ্যে যদি চারটি বড় ধর্ম দরে নেই তাহলে শেষ যা থাকে হিন্দু (যা সবচেয়ে পুরাতন ও অধিক রুপান্তরিত) যাদের ধর্ম গ্রন্থের সাথে কর্মের কোন মিল নাই...
আর তাওরাত সব বড়  কিতাবের আগের কিতাব  তাই হতে পারে তাওরাত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাতে. যা বর্তমানে গীতা হিসাবে পরিচিত.
কারন মুছা(আঃ) এর সময় একটা দল ছিলো যারা মুছা(আঃ) এর কথা অমান্য করে গরুর পূজা করেছিলো. আজও হিন্দুদের মাঝে গরুকে পূজা করা বিদ্ধামান আছে.
সেই অনুপাতে বল্লাম তাওরাত কিতাব হিন্দুদের হাতে যা গীতা হিসাবে পরিচিত .
আসলে আজও কেউ বলতে পারেনি কোনটা সঠিক ......

আর বাকী একশত কিতাবের নাম কারো জানা আছে কি"না তাও কেউ যানে না.
তারপর"ও এই চারটি বড় ধর্ম ছারা "ছোট ছোট আরো শতাধিক ধর্মের সন্ধান আছে" কে জানে হতে পারে সেগুলো একসময় ছোট কিতাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলো কি"না. যা আজও দুনিয়াতে টিকে আছে.

শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৭

রহস্যময় ও ভয়ংকর ইলুমিনাতি!!

ইলুমিনাতি হল মানব রচিত এক প্রকার ধর্মীয় সংগঠন 1776 সালে পহেলা মে প্যভারিয়ুতে  এডাম ঐশদ এই সংগঠনটি প্রতিস্ঠা করেন.
অনেকে দারনা করে যে এলুমিনাতি প্রতিস্ঠার মূল ভূমিকা পালন করেছে ফিওম্যনছেছরা.
ইলুমিনাতি শব্দের অর্থ
যারা বিশেষ ভাবে কোন বিষয়ের উপর আলোকিত বা জ্ঞান অর্জনে দাবী করে.বা ধর্মীয় বিষয়ে বিষেশ জ্ঞান সম্পূর্ণ কোন দল.কিন্তুু তাহা ধর্মকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে.অনেকের মতে এরা নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গরে তোলার নীল নকশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে.
ডেন ব্রাউন রচিতো এনজেলেস ডিমমোন্ছ এই উপন্যাসটি রচনার ফলে এই সংগঠনটি আবারো আধুনিক কালে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু পরিণত হয়েছে.
এরা মূলত বাপহুমেন্ট নামক শয়তানের পার্থনা করে...
তাদের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুশারে তারা কাউকে ভয় পেতে না করে.অর্থাৎ কোন কিছুতেই কোন বাদা নেই যদি অজাচরও হয়.আসলে তারা চায় এইসবই হউক কারন এতে সভ্যতা খোব তারাতারি ধংশ হয়ে যাবে.
যার ফলে তারা মানুষ কে বসে আনবে. আর তাই তারা চেষ্টা করে বেশি বেশি যৌনতার প্রতি আকর্ষীত করতে.তারা মানুষকে বসে আনার জন্য এমন ভাবে প্রচার করে যে মানুষ খোব দ্রুত কাবো হয়ে যায়.
এদের প্রধান প্রচার মাধ্যম হল গোপ্ত বার্তার মাধ্যমে হিপ্যাসাস করা. একটা পেরেগ যেমন দেয়ালে আঘাত করতে করতে ধীরে ধীরে দেয়ালে গেতে যায় ঠিক হিডেন ম্যাছেজ বা গোপ্তবার্তা মাধ্যমে তারা মানুষকে ইলুমিনাতির দিকে আহ্বান করে.
আর মানুষ অনেক সময় নিজের অজান্তেই ফাদে জরিয়ে পরে.
এরা বিষেশ অঙ্গভঙ্গি বার্তা ও চিন্নের মাধ্যমে বেশি বেশি করে প্রচার করে.কাটুক বা এনিমেশন মোভি গান বই সংগীত এমনকি সংবাদ মাধ্যম এবং বিনোদনমূলক ভিবিন্ন চেনেলে  তারা ব্যবহার করে এটি প্রচারের জন্য.
হলিউডের বিভিন্ন অভিনয় শিল্পীদের সাথে ইলুমিনাতির যোগ সাদৃশ্য রয়েছে.
এদের প্রধান উদ্দেশ্য হল শুধুমাত্র তাদের সিদ্ধান্তে যেন পৃথিবী চলে.আর এটি বাস্তবায়ন করার জন্য ইতিমধ্যে অনেক রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছে.
দারনা করা হয় অনেক মার্কীন প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় এসেছেন ইলুমিনাতির সহায়তায়.
আর ইলুমিনাতি তাদের পুতুলের মত ব্যবহার করে.যেমন জজ ডব্লিউ বুস বারাক ওবামা ও ড্রুনাল ট্রাম্প ইত্যাদি.
অনেক প্রতিস্ঠান এখন সরাসরি ইলুমিনাতির নিয়ন্ত্রণে.
যেমন হোয়াইট হাউস ও বিশ্বব্যাংক.
ইলুমিনাতি নতুন নতুন সমস্যা তৈরি করে আর মানুষ সমাধান চায় আর তাদের সমস্যা সমাধানের জ্ন্য নতুন নতুন পথ তৈরির মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন ফাদ.
যেমন দ্বীতিয় বিশ্বযুদ্ধের কথাই দরুন. দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাধ্যমে তাহারা সংগাত সৃষ্টি করে তারা জাতীসংঘ সৃষ্টি করে তাহারা ফাদ তৈরী করে .এরপর তাদের আর একটি সংগঠন হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন. আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন ..
ট্রাম যে প্রেসিডেন্ট হবে এই কথা পনেরো বছর আগেই জনপ্রিয় কাটুন সিরিজ ছিংছনে দেখানো হয়েছিলো.
ট্রামকে প্রেসিডেন্ট করা ইলুমিনাতির পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো.
এতো বিতর্কের মাজে ট্রামকে তারা এই কারনে প্রেসিডেন্ট বানিয়েছে যাতে অদিবাসিদের আমেরিকা থেকে বের করে দিতে পারে.
বিশ্ব অর্থনীতিতে ধষ নামাতে পারে এবং ট্রাপের অনুদানে ইলুমিনাতি কে চালাতে পারে.
কারন ইলুমিনাতির পরিচালনার তেরো পরিবারের মাজে ট্রাম অন্যতম.
আপনারা হয়তো ব্যপারটা লক্ষ্য করেছেন যে ট্রাম শুরু থেকে বলে এসেছে যে নির্বাচনের কোন প্রয়োজন নেই.আমাকে প্রেসিডেন্ট করা ইউক নির্বাচনে জয়ী না হলে নির্বাচন মানবো না.আর নির্বাচিত হলে সব অদিবাসিদের ফিরিয়ে দেয়া হবে.একজন ধনখোবের কখনো এমন উল্টো পাল্টা কথা বলতে পারে না.তিনি জানতো তিনি পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হবেন.তাই এইসব তিনি বলেছিলেন এবং ঠিক করে দেখিয়েছেন.
আমরা হয়তো অনেক জানি জর্জ বোস নিউওয়াল ওয়াল্ডের এক জনসভায় বলেছিলেন সারা বিশ্বের জনসংখ্যা দুই ভিলিয়নে নিয়ে আসতে হবে.
আর বিশ্বের জনসংখ্যা দুই বিলিয়নে আনার একটা মাত্র উপায় আর তা হলো বড় বড় হত্যা কার্য পরিচালনা করা ও অর্থনীতিে ধষ নামানো.
এর মধ্যে ফরাসী বিপ্লব দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ  নাইন ইলাভেন এক একটি উদাহরণ মাত্র.
আর একটা ব্যাপার হচ্ছে নাইন ইলাভেনের এই গঠনার জন্যই ইলুমিনাতি জর্জ আবুসু কে   প্রেসিডেন্ট বানায়.

আর আপনি যদি পাঁচ টাকার ডালারটা দেখেন তাহলা দেখতে পাবেন নাইন ইলাভেনের ধংসের ইংগিত বহু আগেই দেয়া হয়েছে. আর এই ওছিলায় আমেরিকা মধ্যপাচ্ছ থেকে অর্থনৈতিক  অনেক সুবিধা নিয়ে নেয়.
আর নাইন ইলাভেন এর গঠনা ছিলো সম্পূর্ণ বানোয়াট.
আর অন্যদিকে লাগিয়ে দেয় গৃহযুদ্ধ.

খোব অবাক করা বিষয় হলো.....
আই এস. এইস আই বি.এভোলা বাইরার্স
সবেই ইলুমিনাতির সৃষ্টি. এইস রোগের বাইরার্স তৈরী করা হয়েছিলো আমেরিকার গোপন ল্যাভোটোরিতে এই বাইরার্স টেস্ট করা হয় আফ্রিকার বানোরের উপর.

আর একটি বিষয় হলো আমেরিকার মাজে যারা সেলিব্রেটি তারা ইলুমিনাতির বিভিন্ন সংকেত ও চিহ্ন ব্যবহার  করে থাকে.খেয়াল করলে আপনি অবশ্যই পেয়ে যাবেন...

যেমন 2010 সালে ফেইসবুক প্রতিস্ঠাতা জুকার বাগ যখন সেলিব্রেটি পেলো তখন একটি অনুস্ঠানের মাজে উপস্থাপিকা কৌতুহল করে তাহার গায়ের কুট খুলে এবং কুটের পেছনে ভিতরের দিক দেখা গেলো ইলুমিনাতির সেই ভয়ংকর চিহ্ন. তাছাড়া যত সেলিব্রেটিয়ান আছে সবাই এই চিহ্ন ব্যবহার করে.
তার কারন একটাই এরা সবাই ইলুমিনাতির অনুশারী.

তাছারা আমেরিকার যত নাইট ক্লাব ডিস্কু আছে সব গেইটে ইলুমিনাতির চিহ্ন পাওয়া যায়. আর এইটা মূলতো ইসরায়েলের পতাকার তারকা চিহ্ন. এর মাজ আরে কিছু ভয়ংকর দৃশ্য অংকন করা হয়ে থাকে.

আর আমার মতে এটা হতে পারে দাজ্জালের একটা বড় দোষর যা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি না.
সকল বিপদ আপদ ও শয়তানের শয়তানি থেকে মহান প্রতিপালকের নিকট আশ্রয় পার্থনা করি. মহান আল্লাহ পাক যেন আমাদের সবাই কে হেফাজত করে আমিন.

এই হলো ইলুমিনাতির ইতিহাস তাছাড়া আরো অনেক আছে.সময় পেলে আবারও আপনাদের মাজে নিয়ে হাজির হবো.
......ইনশাআল্লাহ .......

এলিয়েন কি সত্যি আছে?

এলিয়েন আছে সচ্ছ প্রমান(আল কোরআনের আলোকে) এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রানী আজ আল কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান   .করবো যে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ ...