রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

একশত চারটি"আসমানী কিতাব"কোথায় আছে.

যুগে যুগে মহান আল্লাহ পাক মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে নবী রাসূলদের মাধ্যমে আসমানী কিতাব পেয়ারন করেছেন.আসমানী কিতাব এই জন্য দিয়েছেন যে নবী রাসূলদের অনউপস্তিতে যেন মানুষ সঠিক দিক নির্দেশনা পায়.এবং ভুলে গেলে কিতাব দেখে তা সংশোধন করে নিতে পারে..
মহান আল্লাহ পাক সর্বমোট একশত চারটি কিতাব ভিবিন্ন নবী রাসূলদের মাধ্যমে এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন. তারমাঝে চারটি হলো বড় কিতাব আর একশটি দুইটি ছোট.
এখন কথা হলো এই আসমানী কিতাবগুলো কোথায়. আমরা দুটি কিতাবের সন্ধান পাই. আরো বাকী একশত দুইটি. এই কিতাবগুলো কোথায় আছে.আজো সেই কিতাবের কোন অস্তিত্ব আছে কিনা.
*একটু তদন্ত করে দেখা যাক কিতাবগুলোর কীন সন্ধান পাওয়া যায় কিনা..
*আমরা সবাই জানি একশত চারটি কিতাবের চারটি বড় যেমন.
1.তাওরাত
2.যাবুর
3.ইঞ্জিল ও
4.আল কোরআন
এই চারটি ছারা বাকী একশত আসমানী কিতাবের নাম আমি কোথাও পাইনি. আর কেউ যানে কিনা তাও জানিনা.
যদিও কোন নবীর উপর কতগুলো কিতাব অবতরণ হয়েছে তা অনেকেই যানে.এবং হাদিসে উল্লেখ আছে.
যেমন. শীশ নবীর নাযিলকৃত কিতাবের সংখ্যা ৫০টি.পর্যায়ক্রমে ১০টি ৫টি ৩টি ২টি এবং ১টি এইভাবে বিভিন্ন নবী রাসূলদের উপর পেয়ারন হয়েছিলো.
মূলকথা হলো যে বড় চারখানা কিতাব নাযিল হয়েছিলো সেগুলোতে পূর্বের সকল কিতাবের কথা উল্লেখ ছিলো.যেমন আল কোরআনে সকল কিতাবের কথা উল্লেখ আছে
*বর্তমান দুনিয়ায় চারটি বড় আসমানী কিতাবের কথা ও নাম আছে.এবং চারটি বড় ধর্মের অনুশারী আছে. যেমন ....
1.হিন্দু
2.বৌদ্ধ
3.খৃস্টান ও
4.ইসলাম.
*এখন আলোচনা করা যাক কোন ধর্মের নিকট কোন আসমানী কিতাব আছে.প্রথমে ইসলাম দিয়ে শুরু করা যাক.তাহলে বিষয়টা বুঝতে সহজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি.

1.আল কোরআন) (ইসলাম)
আমরা সবাই জানি আমরা যারা মুসলমান আছি আমাদের নিকট সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কোরআন আছে.
আর নবী (সঃ) এর উপর শরিয়তের বিধান ও আল কোরআন  অর্পিতো হওয়ার পর পূর্ববর্তী সকল নবীর শরিয়ত ও আসমানী কিতাবের হুকুম  রহিতো হয়ে যায়.আর আমাদের জন্যে আল্লাহ পাক যেগুলোকে প্রয়োজন মনে করেছে সেইগুলো আল কোরআনে উল্লেখ করে দিয়েছেন. এবং নবী (সঃ) এর মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন ..........
আল কোরআন যে মুসলমাদের হাতে তার প্রমানের কোন প্রয়োজন নাই. তারপরও ধারাবাহিকতা রক্ষায় কিছু বল্লাম.

2.ইঞ্জিল..)(খৃস্টান)
সকল মুসলমারাই বিশ্বাস করে হযরত ঈসা (আঃ) এর উপর পেয়ারিত হয়েছে ইঞ্জিন কিতাব. আর ইঞ্জিন কিতাব নাযিল হয়েছিলো আল কোরআন নাযিলের প্রায় দুই হাজার আগে. আল কোরআন কাছাকাছি অবস্থানে নাযিল হওয়ার কারনে আমরা ইঞ্জিন সমন্ধে অবগত.
খৃস্টান ধর্মের অনুশারীরা ইঞ্জিল কিতাব কে বাইবেল বলে অবহিত করো. এবং ঈসা (আঃ) বলে জিসু
আল কোরআন ও হাদিসের ভিত্তিতে বুঝা যায় ইঞ্জিল কিতাব হলো বর্তমানে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীদের নিকটে.যা বাইবেল হিসাবে পরিচিত.  এটাও প্রমাণিত ......

*এখন কথা হলো চারটি আসমানী কিতাবের মধ্যে ইঞ্জিল ও আল কোরআনের সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় কিন্তুু তাওরাত ও যাবুর কোন ধর্মাবলম্বীদের কাছে আছে আজও কেউ বলতে পারেনি.
যেহেতু চারটি বড় আসমানী কিতাবের মধ্যে দুটি কিতাবের অনুশারী প্রকাশিত. আর দুটি অপ্রকাশিত.সেহেতু হতে পারে বাকী দুটি বড় কিতাব. বাকী দুটি বড় ধর্মের নিকট আছে. যদিও এই জমানায় সেইগুলা অকেজো.

3.যাবুর.......(বৌদ্ধ)
যাবুর কিতাব নাযিল হয়েছিলো হযরত দাউদ (আঃ) এর উপর. কবে "কখন "কত বছর আগে তা কেউ বলতে পারবে না.
তবে এটা বলা যায় যাবুর কিতাব তাওরাতের পর নাযিল হয়েছে. ইহাতে বুঝা যায় হযরত মুছা (আঃ) এর পর দাউদ নবীকে আল্লাহ পাক দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন.
সে সময় ইসলাম ও খৃস্ট ধর্ম কোনটাই ছিলো না.
তখন দুনিয়াতে একশত দুইটি কিতাব ছিলো.
তারমধ্যে বড় কিতাব ছিলো দুইটি. তাওরাত ও যাবুর.
দাউদ নবীর আগমনের পর এই দুনিয়াজুড়ে তাওরাত কিতাবের অনুশারী ছিলো বেশি. যখন মানুষ হাজার হাজার বছর দরে তাওরাত কিতাবের অনুশরন করে আসছিলো তখন মানুষ আস্তে আস্তে নিজেদের সুবিধামত কিতাবের ধারাকে পরিবর্তন করতে শুরু করলো.যখন পরিবর্তন করতে করতে চরম পর্যায়ে পৌছালো তখন আল্লাহ পাক দাউদ নবীকে দুনিয়াতে পাঠালেন মানব জাতির হেদায়েতের জন্যে. আর যখন দাউদ নবীর উপর যাবুর কিতাব পেয়ারন করলেন তখন তাওরাতের সকল হুকুম রহিতো হয়ে যায়.
যেমন আল কোরআন নাযিলের পর ইঞ্জিল কিতাবের হুকুম রহিতো হয়েছিলো.
দাউদ নবীর পর বাদশা সোলাইমান এই বিশ্ব সাশন করেছিলো এবং আল্লাহ পাক তাহাকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছিলেন.
বাদশা সোলাইমান যাবুর কিতাবের বানী প্রচার করেছিলেন সারা দুনিয়ায়.এবং ন্যায় প্রতিস্ঠা করেছিলেন এই দুনিয়াজুড়ে.
তখন ও তাওরাতের কিছু অনুশারী ছিলো. তাহারা আগের কিতাব নিয়ে ব্যস্ত ছিলো. যেমনটা এখন খৃস্টানরা ইঞ্জিল নিয়া পরে আছে.
যখন ঈসা (আঃ) দুনিয়াতে আগমন করে তখন হিন্দু ও বুদ্ধ ছিলো" খৃস্টান ও মুসলমান ছিলোনা" কারন তখন ঈসা(আঃ) দুনিয়াতে এসেছেন" আর মুহাম্মদ (সঃ) আগমনের অনেক বাকী.
ঐ দৃষ্টিকোনে লক্ষ্য করলে দারনা করা যায় এবং  বড় ধর্ম ও কিতাবের নাযিলের অনুপাতের দিকে তাকালে বুঝা যায় হয়তো যাবুর কিতাব বর্তমানে বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের নিকট আছে যা এখন তৃপঠী হিসাবে পরিচিত.
এখানে একটা কারন হলো ইতিহাস.
আজ থেকে এক থেকে দের হাজার বছর আগে আমাদের উপমহাদেশের অধিকাংশ মানুষ ছিলো বুদ্ধ ধর্মালম্বী আর বাকীরা ছিলো হিন্দু ও বিভিন্ন উপজাতি. ভারতবর্ষ সাশন করতো একসময় বৌদ্ধরা" পরে বৌদ্ধদের নিকট হতে ছিনিয়ে নেয় কিছু জালেম হিন্দু গুস্টি. পরে বৌদ্ধরা মুসলমানদের স্বরনাপর্ন হয় এবং মুসলমানরা বৌদ্ধদের সহযোগিতা করে"অতপর ভারতবর্ষ মুসলমানরা দখলে নেয়..
এরপর মুসলমানদের উদারতা সততা দেখে হাজার হাজার বৌদ্ধ ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়.
শেষ কথা হলো যাবুর কিতাব যে বৌদ্ধদের হাতে তৃপঠি হিসাবে পরিচিত  তা শুধু আমি কিতাব নাযিলের ধারাবাহিকতায় দিকে তাকিয়ে বলেছি. আসলে এটা কোথায় আছে কোন ধর্মের লোকেদের নিকটে আছে তা অপস্ঠ.

4.তাওরাত ......(হিন্দু)
হযরত মুছা (আঃ) এর উপর নাযিলকৃত কিতাব.
এই কিতাব কত হাজার বছর আগে নাযিল হয়েছে তা আল্লাহ পাক ভালো জানেন.
তাওরাত কিতাবের আগে পরে অনেক কিতাব নাযিল হয়েছে. বলা যেতে পারে তাওরাত কিতাব সব কিতাবের মাঝামাঝি সময়ে নাযিল হয়েছে. আর তাওরাত হলো বড় চার কিতাবের মধ্যে নাযিলকৃত প্রথম বড় আসমানী কিতাব ...
হযরত ঈসা (আঃ) এর জমানায় অনেক লোক ছিলো যারা হযরত মুছা (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. তার সাথে হযরত দাউদ (আঃ) এর অনুশারী ছিলো. এক কথায় বলতে গেলে দুইজনেরই অনুশারী ছিলো.......
ঈসা (আঃ আগমনের পর তারা তিনটি বাগ হয়. একদল মুছা (আঃ) একদল দাউদ (আঃ) আর একদল চলে আসলো ঈসা (আঃ) এর দিকে .
কারন নবী ইসরাইলরা ছিলো নাফরমান জাতি সব নবীদের জ্বালিয়েছে এই বনী ইসরাইলের জাতি.আল্লাহ পাকের কোন কথা তাদের কানে পৌছাতো না. তাদের নিকট আল্লাহ পাক হাজার হাজার নবী পাঠিয়েছেন. কিন্তুু তাদের অধিকাংশই নবীনদের কথা শুনেনি.
তাহারা হাজার হাজার নবীকে হত্যা করেছিলো.
এক"কথায় বলতে অবাধ্য জাতি হলো বনি ইসরায়েল.
হযরত মুছা (আঃ) আমলে একদল লোক গরুর পূজা করেছিলো. তখন তারা মুছা (আঃ)এর কথা অমান্যে করে গুবস্বের পূজা করেছিলো.
পরে তাদের শাস্তি দিয়েছিলো .
কিন্তুু এখন কথা হলো আজও কিছু ধর্মালম্বী আছে যাহারা আজও গুবস্বের পূজা করে.
হতে পারে তাহারাই তাওরাত কিতাবের অনুশারী.
আর পর্যায়ক্রমে বিচার করলে দেখা যায়. চারটি বড় কিতাবের অনুশারী মধ্যে যদি চারটি বড় ধর্ম দরে নেই তাহলে শেষ যা থাকে হিন্দু (যা সবচেয়ে পুরাতন ও অধিক রুপান্তরিত) যাদের ধর্ম গ্রন্থের সাথে কর্মের কোন মিল নাই...
আর তাওরাত সব বড়  কিতাবের আগের কিতাব  তাই হতে পারে তাওরাত হলো হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের হাতে. যা বর্তমানে গীতা হিসাবে পরিচিত.
কারন মুছা(আঃ) এর সময় একটা দল ছিলো যারা মুছা(আঃ) এর কথা অমান্য করে গরুর পূজা করেছিলো. আজও হিন্দুদের মাঝে গরুকে পূজা করা বিদ্ধামান আছে.
সেই অনুপাতে বল্লাম তাওরাত কিতাব হিন্দুদের হাতে যা গীতা হিসাবে পরিচিত .
আসলে আজও কেউ বলতে পারেনি কোনটা সঠিক ......

আর বাকী একশত কিতাবের নাম কারো জানা আছে কি"না তাও কেউ যানে না.
তারপর"ও এই চারটি বড় ধর্ম ছারা "ছোট ছোট আরো শতাধিক ধর্মের সন্ধান আছে" কে জানে হতে পারে সেগুলো একসময় ছোট কিতাবের অন্তর্ভুক্ত ছিলো কি"না. যা আজও দুনিয়াতে টিকে আছে.

এলিয়েন কি সত্যি আছে?

এলিয়েন আছে সচ্ছ প্রমান(আল কোরআনের আলোকে) এলিয়েন বা অন্য গ্রহের প্রানী আজ আল কোরআন ও হাদীস দিয়ে প্রমান   .করবো যে এলিয়েন বা অন্য গ্রহে প্রাণ ...